ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ‘১৫ আগস্ট ইসলামী শিক্ষা দিবস' উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী আন্ত:হল সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ৫ টায় শাহ আজিজুর রহমান হল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির বিতর্কের মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরে সাদ্দাম হোসেন হল ও শহীদ আনাস হল এর মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাবেক জাতীয় টিভি বিতার্কিক মোহাম্মদ খালিদ হাসান, ইবি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ডিবেটিং ও টিভি বিতার্কিক মো: সাইফুর রহমান, স্পিকার হিসেবে ছিলেন ইবি ডিবেটিং সোসাইটির সদস্য সচিব মোঃ দিদারুল ইসলাম রাসেল।

জানা যায়, তিনদিনে তিনটি পর্বে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার। এতে অংশ নিচ্ছে শাহ আজিজুর রহমান হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, সাদ্দাম হোসেন হল, লালন শাহ হল, শহীদ আনাস হল, জুলাই-৩৬ হল, উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা হল ও বেগম খালেদা জিয়া হল ডিবেটিং সোসাইটিসহ চারটি ছাত্রহল এবং তিনটি ছাত্রীহলের মোট আটটি বিতর্ক দল।

বিতর্কে স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করা দিদারুল ইসলাম রাসেল বলেন “বিতর্ক কেবল প্রতিযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি হলো শিষ্টাচার, যুক্তি ও জ্ঞানচর্চার এক অনন্য ক্ষেত্র। এখানে জয় বা পরাজয় মুখ্য নয়, বরং যুক্তি দিয়ে সত্য অনুসন্ধান, ভিন্নমতকে সম্মান করা এবং মুক্তচিন্তার চর্চাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তরুণদের মাঝে এই মানসিকতা গড়ে তুলতে বিতর্কের ভূমিকা অপরিসীম।”

বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক এবং শাখা শিবিরের আন্তর্জাতিক ও বিতর্ক সম্পাদক হাসানুল বান্না অলি বলেন, “স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বিতর্কের মাধ্যমে দাওয়াতি কাজ করার জন্য আল্লাহর রসুলকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই বিতর্কের মাধ্যমে সত্যকে উপস্থাপন করা যায় ভিন্নভাবে। মূলত বিতর্ক নতুনত্বের পথকে উন্মুক্ত করে দেয়। আর ইসলামী ছাত্রশিবির চায় মানুষের কাছে সত্য ও সুন্দর টা পৌঁছে যাক।এরই ধারাবাহিকতা আমাদের এই আন্তঃ হল সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন। আমরা আশাকরি এই বিতর্কের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সত্য টা বিকশিত হবে।”

উল্লেখ্য, আজকের বিতর্কের মোশন ছিল “একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যতীত শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত সম্ভব না” এবং “জাতীয় নির্বাচনে PR পদ্ধতি ই পারে ফ্যাসিজম শাসন ব্যবস্থাকে মোকাবেলা করতে”।