‘মায়ের অসুস্থতার কারণে’ দেরিতে কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার আর পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। তবে অপর পত্রে ৬৬ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবে আনিসা।

রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ কথা জানান।

আনিসার পরীক্ষার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমরা বিদ্যমান নীতিতে চলি। বিদ্যমান নীতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। এখন যদি নীতি পরিবর্তন হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানায় আমরা সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেব। এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ওপর থেকে আসেনি।

তিনি বলেন, ওই ঘটনা (মায়ের অসুস্থতা) সত্য হোক আর মিথ্যা হোক তাতে আমাদের বিদ্যমান নীতিতে কোনো সমস্যা নেই। বিদ্যমান নীতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ দুটির কোনো ক্ষেত্রেই নেই। সত্য হলেও নেই, মিথ্যা হলেও নেই। এখন যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা সেটির অপেক্ষায় আছি।

বাংলা দ্বিতীয়পত্রে ৬৬ নম্বর পায় সেক্ষেত্রে পরীক্ষা না নিলে পাস করানো যাবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জ্বী। দুই পেপার (পত্র) আছে যেসব বিষয়ে সে সব বিষয়ে এক পেপারে পাস মার্ক অর্থাৎ ৬৬ নম্বর পেয়ে যায় তাহলে পাস বলে গণ্য হবে। এটা শুধু তার জন্য নয়, সবার জন্য এ নিয়মটা আছে।

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন ২৬ জুন দেড় ঘণ্টা দেরিতে আসায় বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে পারেননি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা। মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ছিল আনিসার পরীক্ষা কেন্দ্র।

পরীক্ষা দিতে না পেরে কেন্দ্রের সামনে গড়াগড়ি দেয় আনিসা। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষা উপদেষ্টার নির্দেশে ২৯ জুন থেকে ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসে। এ ঘটনায় বোর্ড এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ পৃথক কমিটি গঠন করে।

পরের পরীক্ষাগুলোতেও আনিসা অংশ নিচ্ছে বলে জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।