ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ২১ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গতকাল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেজর কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। এমনটি যেন ভবিষ্যতেও না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে চিফ রিটার্নিং অফিসার ও তার টিম কাজ করছে। কোনো ধরনের বৈষম্য বা অসমতা দেখা দিলে, লিখিতভাবে জানালে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব। আজ মঙ্গলবার থেকে নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা। এখন পর্যন্ত ২১ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ভোট প্রদানে জটিলতা এড়াতে হলে হলে হল কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড অথবা পে-ইন স্লিপ দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিনেট হলে সকল ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান ড. জসিম উদ্দিন।

এদিকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ উপলক্ষে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব ভোটার/শিক্ষার্থী ভোটার তালিকায় ছবি অপ্রদর্শিত রাখতে ইচ্ছুক, তাদেরকে আগামী ২৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখের মধ্যে চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ছাত্রী হলগুলোতে সংশ্লিষ্ট হলের অনাবাসিক এবং অন্যান্য ছাত্রী হলের আবাসিক ও অনাবাসিক প্রার্থীরা ২৬ আগস্ট ২০২৫ থেকে ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমানে তা বন্ধ করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট হল ও দপ্তরসমূহের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা উন্মুক্ত থাকবে।

বিভিন্ন অভিযোগে বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের ওপর আপীলের পর যাচাই-বাছাই শেষে আবেদনকারী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন এর আপীল নিষ্পত্তি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগসমূহ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনাল কমিটির গত ২৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখের সভায় জুলিয়াস সিজার তালুকদার ও বায়েজিদ বোস্তামীকে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত থাকা এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে ভোটার ও প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি সিন্ডিকেটে প্রেরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, আসাদুজ্জামান জিলানী ও মো. খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যথাযথভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এবং অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর স্বাক্ষর না থাকায় তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করছে।

এদিন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. আবু সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অ্যাকাডেমিক কার্যক্ষমতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই নেতা উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন করলেও অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ এখনও সন্তোষজনকভাবে অর্জিত হয়নি। কার্জন হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কাইয়ুম জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জ্ঞান উৎপাদন, বিতরণ এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য। প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের গতিপথ নিয়ে বৈশ্বিক মানের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সাদিক কায়েম তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরে বলেন যে অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করার পরও বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং শিক্ষাগত অগ্রগতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক অগ্রগামীভাবে ছাড়িয়েছে। তিনি দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাডেমিক অবকাঠামো ও গবেষণা সক্ষমতার জন্য যথেষ্ট বিনিয়োগ না করার বিষয়েও সমালোচনা করেন। গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, পার্শ্ববর্তী দেশ এবং উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার জন্য মূল বাজেটের ২০-২৮% বরাদ্দ রাখলেও ঢাবি এ বছরের জন্য কেবলমাত্র ২% বরাদ্দ দিয়েছে। এটি একটি বিশাল ফাঁক যা প্রতিষ্ঠানটির অর্থবহ অ্যাকাডেমিক অবদানের সক্ষমতাকে মূলত ক্ষুণœ করছে।

প্রার্থী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নির্বাচিত হলে তার প্যানেল বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত অর্থে অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারবে। তবে সাদিক কায়েম নির্বাচনী পরিবেশে উদ্বেগজনক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন, তিনি অভিযোগ করেন যে সব ডাকসু প্রার্থী জুলাই বিপ্লবের সাথে যুক্ত হলেও, প্রতিপক্ষরা ক্রমাগত সাইবারবুলিং করছে এবং মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। তিনি বলেন,তার প্যানেলের মূল লক্ষ্য অ্যাকাডেমিক সংস্কার, গবেষণার জন্য বাজেট বৃদ্ধি এবং প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার উপর কেন্দ্রিত।

এদিকে ডাকসু ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেছেন, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিচার যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে, ততক্ষণ তাদের বাঁচার অধিকার আছে। তাদের খাদ্য ও বাসস্থানের অধিকার আছে কিন্তু তাদেরকে রাজনৈতিক অধিকার তো আপনারা (ঢাবি প্রশাসন) দিতে পারেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডাকসু নির্বাচনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এই ভিপি প্রার্থী বলেন, ফজলুল হক মুসলিম হলের এজিএস প্রার্থী তোফাজ্জল হত্যা মামলার আসামী, এজিএস রাকিবুল রিয়াদ ও জিএস এনামুল হাসান ২০২২ সালে ছাত্রদলের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং ছাত্রলীগের পোস্টেড ছিল। এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারকে আমরা প্রশ্ন করছি।

আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন, এফ রহমান হলে গুপ্ত শিবির ও বাগছাসের যারা প্রার্থী আছে, তাদেরকে প্রভোস্ট পক্ষপাতিত্ব করছেন। এফ রহমান হলের একজন সাংবাদিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং তিনি ছাত্রদের জন্য কাজ করা প্রার্থীদের ব্ল্যাকমেইল করছেন। হল সংস্কারের জন্য যে প্রতিনিধি কমিটি করা হয়েছিল, তারা বলেছিল ডাকসু নির্বাচন হবে না। অথচ এখন তারাই প্রার্থী হয়েছেন। আশা করি নির্বাচন কমিশন প্রভোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, বিজয় একাত্তর হলের এজিএস প্রার্থী তানিম কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা করেছিল। সে কীভাবে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে? আবার ‘স্বতন্ত্র ঐক্য জোট’ থেকে মমিনুল ইসলাম বিধান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন। তিনি ২০২২ সালে ছাত্রদলের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন। জগন্নাথ হলের স্বপন রায় ছাত্রলীগের উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন, এখনো পদত্যাগ করেননি অথচ তিনি ভিপি পদে নির্বাচন করছেন।

ছাত্রদলের এই ভিপি প্রার্থী বলেন, আগে ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সময় ছিল গণরুম-গেস্টরুম কালচার, এখন চলছে মুড়ি পার্টির কালচার। মুড়ি পার্টিতে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, প্যানেলের কয়জনের নাম তারা মুখস্থ করতে পেরেছে। যে বেশি প্রার্থীর নাম বলতে পারছে, তাকে উপঢৌকন দেওয়া হচ্ছে।

প্রচারণা শুরুর প্রসঙ্গে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু হবে। কিন্তু রোববার রাত ১টা ১৩ মিনিটে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচারণা চালিয়েছেন। যদিও তিনি ক্ষমা চেয়েছেন কিন্তু একটি ঘটনা ঘটিয়ে পরে ক্ষমা চাইলে অন্যরা একই সুযোগ নেবে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ হল ছাড়া অন্য হলে প্রবেশ ও অবস্থানে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ডাকসুর স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা সম্প্রতি রোকেয়া হলে অবস্থান করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ক্যাম্পাসে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এরই প্রেক্ষিতে নিয়ম ভঙ্গের দায় স্বীকার করে উমামা ফাতেমা রোকেয়া হল প্রভোস্ট বরাবর ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি দিয়েছেন।সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রী উমামা ফাতেমা বলেন, গতকাল রোকেয়া হলে প্রবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল থেকে কথা তোলা হচ্ছে। আমি কোনো নির্বাচনী প্রচার বা মিটিং করতে যাইনি। দীর্ঘদিনে মানসিক ধকলের কারণে মেন্টাল রিলিফের জন্য বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি হলগেট ১০টায় বন্ধ হওয়ার আগেই হলে প্রবেশ করি। কিন্তু রাত ১টা ৩০ মিনিটে আসার ব্যাপারে যে ভুয়া খবরটি ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত 'সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ'। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা।

সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী খায়রুল আহসান মারজান বলেন, নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী ২৬ তারিখের আগ পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন লাগাতে পারবেন না প্রার্থীরা। কিন্তু, অনেক প্রার্থীরা নিয়মিত ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন যা নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

গতকালও আমরা দেখেছি ডাকসুর ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল’-এর ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রোকেয়া হলে প্রাচরণা চালাচ্ছেন। তিনি কারো প্রতিনিধিত্ব করেন কিনা? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি তাকে ভিপি হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য ধরে নিয়েছে কিনা? যদি না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন?

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষ বক্তব্য এখন পর্যন্ত দিতে পারে নি। ছাত্রদলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান হলগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। তিনি এবং তার প্যানেলের অনেকে পাঠকক্ষ ও অন্যান্য জায়গায় কুশল বিনিময় করেছে। আমরা আরও দেখেছি, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের দিন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম দলবল নিয়ে স্লোগান দিয়ে প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রের তুলনায় ভোটার সংখ্যা অনেক বেশি। ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ৮টি ভোটকেন্দ্র আছে। এত কম সংখ্যক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করতে গেলে দিন পেরিয়ে রাত হয়ে যাবে। কারণ একজন শিক্ষার্থীকে ৪২টি ভোট দিতে হবে। এ সময় তিনি অতিদ্রুত উক্ত বিষয়গুলোর নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ঢাবি প্রশাসনকে আহ্বান জানান।

নিরাপত্তা জোরদারে উচ্চপর্যায়ের সভা :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার উপাচার্যের সভাকক্ষে এই বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, সিটি এসবির ডিআইজি মীর আশরাফ আলী, ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মো. মাসুদ আলম ও শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর।