গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র একটি ভোট পেয়েছেন মো. নির্জন নামে এক প্রার্থী। এরপর থেকেই আলোচনায় এসেছে ভিপি পদে নির্বাচন করে মাত্র একটি মাত্র ভোট পাওয়া প্রার্থী কে এই নির্জন?
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় গকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম।
নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নির্জন একমাত্র একটি ভোট পেয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ১১টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।
জানা যায়, নির্জন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি।
গত ১১ জুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা ও সাধারণ সম্পাদক এম. রাজিবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ সদস্যকে নিয়ে ছাত্রদলের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয় যেভাবে সভাপতি হন নির্জন।
এর আগে গকসু নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী করার জন্য মনোনয়ন নেন নির্জন।
তবে নির্বাচনের আগের দিন বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি গকসু নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় প্রার্থীতা থেকে অব্যহতি ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদনও করেন।
তবে, তার দাবি নির্বাচন কমিশনার ভুলবশত ব্যালট পেপারে তার ব্যালট নাম্বার ছাপিয়েছে। তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ বিষয়ে অবগত করার জন্য তিনি এ ফেসবুক পোস্ট করেন।
জানা গেছে, গকসু নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত ১১ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকায় মো. নির্জনের নাম রয়েছে।
শুক্রবার রাতে মো. নির্জন বলেন, আমি ১৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছি। তখন তাকে ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর এ আবেদন যথাযথ হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি কলটি কেটে দেন। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে মুঠোফোন জানতে চাইলে গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের সদস্য সচিব একেএম সাইফুল্লাহ বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর আবেদন করলে সেটা গৃহীত হওয়ার কথা না। তবে কার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা হয়েছে সেটির বিস্তারিত আগামীকাল (শনিবার) জানাতে পারবেন বলে তিনি জানান।