রাবি রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ৯ ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবেন ২ হাজার পুলিশ সদস্য।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। নির্বাচনে নয়টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ৯৯০টি বুথের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম জানান, ৯টি ভবনের মধ্যে মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ কলা ভবন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন, জাবির ইবনে হাইয়ান একাডেমিক ভবন, জামাল নজরুল একাডেমিক ভবন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন, জগদীশ চন্দ্র একাডেমিক ভবনে দুটি করে কেন্দ্র এবং জুবেরী ভবনে একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটগ্রহণ শেষে রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে ভোট গণনা করা হবে এবং কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “ভোট গণনার পুরো সময়টি সিসি টিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে।” এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে একটি মিডিয়া কর্নারের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব বলেন, “রাকসু নির্বাচনের স্বচ্ছতা, নির্বাচন নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন এবং নির্বাচনি পরিবেশ সম্পর্কে দেশবাসীর প্রবল কৌতূহল রয়েছে। এ কৌতূহল মেটাতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের মাধ্যমেই সারাদেশ জানতে পারবে নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে এবং নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে। মিডিয়া সেন্টারে ইন্টারনেট সংযোগসহ সব প্রয়োজনীয় সুবিধা রাখা হয়েছে।”

নিরাপত্তায় ২ হাজার পুলিশ

ভোটের দিন রাবি’র নিরাপত্তায় ২ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। আরএমপি কমিশনার বলেন, “এখন পর্যন্ত এখানে আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়া যেহেতু অনেক বড় এবং বিভিন্ন প্রবেশপথ রয়েছে, সেহেতু আমরা কেন্দ্রভিত্তিক একটা বলয় তৈরি করবো। আর তা নির্বাচনের আগের দিন থেকে কার্যকর হবে।” তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন ঘিরে কোনো জায়গায় কি-ধরনের নিরাপত্তা লাগবে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে আমরা সে-অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাবো।’