রাবি রিপোর্টার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১০ মে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এর প্রতিবাদে ভিসি’র বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন এলামনাই সদস্যরা। এদিকে রাবি’র রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
রুয়া এডহক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দীন খান জানান, এডহক কমিটির এক জরুরি সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ৯ মে রুয়া’র পুনর্মিলনী ও ১০ মে রুয়া’র কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিধায় এটি স্থগিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রুয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর নুরুল আলম চৌধুরী পদত্যাগ করেন। নির্বাচন স্থগিত করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা অবস্থান গ্রহণ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। এরআগে সকালে রুয়ার পদপ্রার্থীরা দুই দফায় এডহক কমিটির আহ্বায়ক বরাবর স্মারকলিপি দেন নির্বাচন বন্ধ না করার দাবিতে। অন্যদিকে বিএনপি পদপ্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেন। রুয়া নির্বাচনের সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী এমাজ উদ্দিন মন্ডল বলেন, আমাদের আজকের এ কর্মসূচি হলো ১০ তারিখ রুয়া নির্বাচন স্থগিত করার প্রতিবাদে। এক কুচক্রী মহল যারা রুয়া নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য পায়তারা করছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বাসার সামনে ককটেল ফাটিয়ে রুয়া নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।
ককটেল নিক্ষেপ : রাবি রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদের বাসায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার মধ্যেরাতে তার বাসায় ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় বক্তারা অনতিবিলম্বে এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।