চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উপস্থিতি বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের’ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি।

তিনি মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন।

ইব্রাহীম রনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু ঘটনা ঘটেছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু আজ ক্যাম্পাসে অসংখ্য বহিরাগতকে দেখা গেছে।

তিনি জানান, এ পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, যেন একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়, যাতে লিখিত অভিযোগের পর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম রনি বলেন, অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা এবার নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে। শহর থেকে তাদের আসা–যাওয়া কঠিন, তাই শাটল ট্রেনের শিডিউল বাড়ানো জরুরি। পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

নির্বাচন ঘিরে নারী প্রার্থীদের হয়রানি ও সাইবার বুলিং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সামনে থাকা অনেক নারী এবার প্রার্থী হননি। সাইবার হয়রানি এর অন্যতম কারণ। আমরা চাই, কোনো নারী যেন কোনো ধরনের যৌন হয়রানির শিকার না হন, বলেন ইব্রাহীম রনি।

তিনি আরও বলেন, চাইলে প্রশাসন ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২টার মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করতে পারে। ভোট গণনা যেন প্রহসনে পরিণত না হয়, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

নিজেদের ইশতেহার পুনর্ব্যক্ত করে ইব্রাহীম রনি জানান, আমরা ১২ মাসের জন্য ৩৩ দফা সংস্কার ইশতেহার দিয়েছি, যার মধ্যে ৯টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত হলে আমরা এসব বিষয়ে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।