জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাশ্রমের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থান ও দুঃশাসন বিষয়ক উপন্যাস ‘একটি বিষণ্ণ রাইফেল’ শীর্ষক পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা অনুষদের ১০৩ নং কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

আলোচনায় কথাসাহিত্যিক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গল্প কখনো মিথ্যা হয় না, গল্পের জগতে গল্পই সত্য। রায়হান রাইনের উপন্যাসটি স্বাধীনতা-পরবর্তী এক দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শাফায়েত মূলত লেখকের আত্মপ্রতিকৃতি। এ উপন্যাস পাঠে মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।”

অধ্যাপক শাহমান মৈশান বলেন, “উপন্যাসটি আমাকে একরকম আক্রান্ত করেছে। এটি একটি ডাবল ফিকশন, যা নিজেই নিজেকে ব্যাখ্যা করে। দুঃশাসন, গুম, দ্রোহ ও আত্মজিজ্ঞাসার এক অনন্য কাহিনি এটি। আমি মনে করি এটি একটি কালজয়ী রাজনৈতিক উপন্যাস, যার গভীরে রয়েছে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবি। হেমলেটের সাথেও এর একটি রূপক সাযুজ্য রয়েছে।”

আলোচ্য উপন্যাসের লেখক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, “‘একটি বিষণ্ণ রাইফেল’ সরাসরি উত্তর দেয় না, বরং প্রশ্ন তোলে। একাত্তরের রাইফেল কীভাবে গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখতে পারে, সেই রূপকময় চিত্রই আমি উপন্যাসে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।”

উল্লেখ্য, রায়হান রাইন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বর্তমানে একই বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

#....

শহিদুল্লাহ মনসুর

০১৮৫০০২১৭৭১