রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ২ হাজার ৫১৪ জন, পাস করেছেন ২ হাজার ৪৩৪ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৮৬ জন। গত বছর এই কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পান এক হাজার ৭৩৭ জন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারছেন।

এর আগে, গত বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন ২ হাজার ৫৬৯ জন। এর মধ্যে পাস করেন ২ হাজার ৫৩৫ জন। পাসের হার ছিল ৯৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া তিনি এ মন্তব্য করেন। মাজেদা বেগম বলেন, আল্লাহ কাছে শুকরিয়া জানাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি অনুযায়ী ফলাফল হয়েছে। সরকার এ বছর চেয়েছে, যাতে মেধার মূল্যায়ন হয়। মেধার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রশ্নের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি ছিল, প্রশ্নের ধরন বুঝতে একটু সমস্যা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন সময়ে দেখেছি, কিছু শিক্ষার্থী ক্লাসমুখী ছিল না। কিছু শিক্ষার্থী ক্লাসে মনোযোগী ছিল না, রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পেছনে এটাও কারণ হতে পারে। তবুও বলবো ভালো রেজাল্টের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাবী এবং তারা ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারবে।

মাজেদা বেগম বলেন, যারা পাস করেছে, তারা তাদের যোগ্য স্থানে পৌঁছে যাবে। যার যার পরিশ্রম অনুযায়ী মূল্যায়ন পেয়েছে।

ভিকারুননিসায় অকৃতকার্য এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিকারুননিসা স্কুল ওরিয়েন্টেট কলেজ। এরকম না যে যাচাই-বাছাই করে ভালো শিক্ষার্থীদের এখানে আনা হয়েছে। লটারির মাধ্যমে যারা ভর্তি হয়েছে, তাদেরই আমরা তৈরি করেছি।

মাজেদা বেগম, অনেক কলেজ ভালো রেজাল্ট করে; কারণ তারা পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছে। মেধা সবার সমান হয় না, মেধা কম বেশি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর মেধার মূল্যায়ন হয়েছে। প্রশ্নের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে, লিখলেই নাম্বার এবং লিখলেই পাস। এই ধারা পরিবর্তন হয়েছে। খাতা দেখার ধরন পরিবর্তন হয়েছে। ফলে প্রকৃত মেধাবীরা বেরিয়ে আসছে।

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ বলেন, আমি বলবো না, সামগ্রিকভাবে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হয়েছে।