শান্তা মরিয়ম ইউনিভার্সিটির তহবিলের অর্থ স্থানান্তর ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ রয়েছে, বিধি লঙ্ঘন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৩৪৩ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৯ টাকা শান্তা মরিয়ম ফাউন্ডেশনে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রায় ১০২ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দেন। তিনি বলেন, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগসহ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজসহ সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।

নর্দার্নের চেয়ারম্যান ও পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক : ‘দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে’ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ পেয়ে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। সংস্থাটির ডিজি আক্তার হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দিয়েছেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম রোধে দুদক কোনো বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে কিনা, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে আক্তার হোসেন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। কোনো বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়নি। দুদক মহাপরিচালক বলেন, ‘শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এসব কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বিশেষ ধরনের কোনো কিছু করেনি। যদি এমন আরও অভিযযোগ থাকে, সেসব খতিয়ে দেখা হবে।’