গতকাল সোমবার ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিমউদ্দিন খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো ইনোভেটিভ ও ক্রিয়েটিভ মানুষ তৈরি করা। রুয়েট সেই দায়িত্ব পালন করে চলেছে আমার বিশ্বাস।
সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় ও রুয়েটের পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করা হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে রুয়েটের শহীদ শিক্ষার্থীদের কবর জিয়ারত করা হয় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিও পালন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস রুমগুলো আমাদেরকে প্রশ্ন করার অধিকার দেয়। প্রশ্ন করার মধ্য দিয়ে নতুন জ্ঞান তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি দিক, যার একটি অবকাঠামো এবং অপরটি শিক্ষা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করতে হবে।” অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক। বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের প্রতি জনগণের আকাক্সক্ষা হলো বিজ্ঞানকে প্রযুক্তিতে রূপান্তর করা। দেশীয় প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং বিকাশের জন্য যে দায়িত্ব আমাদের প্রতি অর্পিত, সেই দায়িত্ব যদি আমরা সঠিক ভাবে পালন করতে পারি, তবেই দেশ এগিয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়েই জনগণের আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়ন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার।