রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এষা লেখেন, শিক্ষার্থীদের রায়ই চূড়ান্ত! সকলের এত বেশি ভালোবাসা পেয়েছি যা অকল্পনীয়। আপনাদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ। এই ভালোবাসার দায়বদ্ধতা থেকে আমি ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমার জন্য দোয়া রাখবেন। নবনির্বাচিত সকল রাকসু প্রতিনিধিদের অভিনন্দন।

রাকসু নির্বাচনে এষা ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ৫ হাজার ৯৫১ ভোট পান।

এই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি): ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট, আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্মের শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক (জিএস): আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭ ভোট, আর শিবির সমর্থিত প্যানেলের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। চূড়ান্ত ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি।

রাকসু নির্বাচনে, মোট ২৩টি পদে ২৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১০টি প্যানেল থেকে। ১৭টি হল সংসদের ১৫ পদে ৫৯৭ জন এবং সিনেটের ৫ পদে ৫৮ জন প্রার্থী লড়েন।

রাকসুর ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী অংশ নেন।

মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৯০১ জন-এর মধ্যে ছাত্রী ১১,৩০৫ জন এবং ছাত্র ১৭,৫৯৬ জন। নির্বাচনে ৬৯.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। নারী হলগুলোর ভোটগ্রহণে অংশ নেয় ৬৩.২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।