অভিভাবক-শিক্ষক-শিক্ষার্থী ত্রিমাত্রিক বন্ধনে আদর্শ শিক্ষা গঠনের আহ্বানে শনিবার (১১ অক্টোবর) যশোর পিটিআই অডিটোরিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যশোরের উদ্যোগে প্যারেন্টিং কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত হয়, যেখানে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। তিনি তাঁর অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে বলেন,
একটি শিশুর মানসিক, নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই ধরনের কনফারেন্স আমাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বীজ বপন করবে। সন্তানদের শুধু ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোই যথেষ্ট নয়, তাদের চরিত্র গঠন, মানবিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আদর্শ শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় ঘটানো জরুরি। অভিভাবকদের উচিত সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল থাকা, তাদের সময় দেয়া, তাদের মানসিক চাহিদা বোঝা এবং সঠিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিত করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, আজকের এই ধরনের উদ্যোগ শুধু অভিভাবক নয়, পুরো সমাজকে শিক্ষার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজ যেভাবে শিক্ষা ও নৈতিকতার সমন্বয় একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই জানান, এ ধরনের সম্মেলন তাদের সন্তানদের বিকাশ ও শিক্ষাগত পথচলায় নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চিফ মেডিকেল অফিসার (বুয়েট) ও চেয়ারম্যান, প্যারেন্টিং ইন্টারন্যাশনাল পিস ফাউন্ডেশন ডা. আবু হেনা আবিদ জাফর, তিনি ইতিবাচক প্যারেন্টিং ও মানসিক বিকাশ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ডা. জাফর তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিশুর শিক্ষা কেবল বইপড়াা নয়, বরং তার মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের সমন্বিত প্রক্রিয়া। অভিভাবকরা যদি সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন, তাহলে শিক্ষার পরিবেশ আরও ইতিবাচক হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পিস ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এস. এম. মফিজুর রহমান সন্তানের সুশিক্ষা ও সুশৃঙ্খল পারিবারিক পরিবেশ তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের জন্য ভালো প্রতিষ্ঠান বেছে নেয়া এবং ঘরে ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখা।