ইবরাহীম খলিল/শহিদুল্লাহ মনসুর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাভার থেকে: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হলেও এখনো চলছে গণনা। ভোট গ্রহণের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ঘোষণা করা হয়নি ফল। ভোট গ্রহণ এবং ফলাফল ঘেষাণা করতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার বিকালে হঠাৎ ভোটগণনা বন্ধ রাখা হয়। পাঁচটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ভোট গণনা। ভোট গণনা বন্ধ রেখে নির্বাচন কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২টি টেবিলে ভোট গণনার কাজ চলছিল।
এদিকে রাতের মধ্যেই জাকসু ও ২১ টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাতের মধ্যেই ভোট গণনা শেষ করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে সেটার নির্দিষ্ট সময় নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। রাতের শেষভাগেও (ফল ঘোষণা) করা হতে পারে। মনিরুজ্জামান জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত নয়টা থেকেই ভোট গণনা শুরু করা হয়েছে। ২১ টি হলের মধ্যে ১৯ টি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাতের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তা সম্ভব নাও হতে পারে। গণনা করতে শনিবার সকাল হয়ে যেতে পারে।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, “হলের ভোট গণনাই মাত্র শেষ হলো। হলে প্রত্যেকের জন্য ১/২ টি করে ব্যালট পেপার ছিল। আর কেন্দ্রীয় নির্বাচনের জন্য ছিল তিনটি। ভোট কাস্টের হার একই, অর্থাৎ যারা হলে ভোট দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের আরও তিনটি করে কেন্দ্রীয় ব্যালট রয়েছে। পরিসংখ্যানগতভাবে মনে হচ্ছে, ম্যানুয়ালি গণনা হলে হলের ভোট গণনার তুলনায় কেন্দ্রীয় ভোট গণনায় অন্তত তিনগুণ বেশি সময় লাগবে।
এদিকে জাকসু নির্বাচনের ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। তারা মূলত এই বিলম্বের মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। তারা বলছেন অবিলম্বে ফল ঘোষণা করা না হলে শিক্ষার্থীরা তা মানবে না। ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন শিক্ষক হার্ট অ্যাটাক করে ইন্তেকাল করেছেন। এটা নিয়েও তারা রাজনীতি করতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি লন্ডন থেকে একটি প্রেসক্রিপশন এসেছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছেন কিছু লোকজন। ছাত্রদলের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। রাতে তারা দেশে বসে লন্ডনে জুম মিটিং করেছে। লন্ডনের এজেন্ডা জাহাঙ্গীরনগরে বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের রায় মেনে নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চাকে মেনে নিতে হবে। জয় হলেও মেনে নিতে হবে। পরাজয় হলেও মেনে নিতে হবে। কোনভাবেই স্বৈরাচারি কায়দায় হাসিনার আমলে শাসন এখানে বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। আমরা কোনভাবেই ভোটের ফল না নিয়ে সরবো না। আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।
গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর দীর্ঘক্ষণ বিরতির পর আবার ভোট গণনা শুরু গণনা শুরু হয় সন্ধ্যার দিকে। এবারও ম্যানুয়ালি বা হাতেই গণনা শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হল সংসদের ভোট গণনা শেষ করে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা চলছিল।
সন্ধ্যায় জাবি নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে ভোটগণনা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, জাকসু নির্বাচন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাধ্যমে এটা শুরু হয়েছে, জাকসু হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি সেই চেতনার জায়গা থেকে সবার অতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও ফল না পেয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর কারণ হিসেবেও নির্বাচনের আয়োজনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন অনেকে। এদিকে টেবিলে জনবল বাড়িয়ে দ্রুত ফল ঘোষণার আশ্বাস দিয়েছে জাকসুর নির্বাচন কমিশনার।
জাকসুর ভোট গণনার দায়িত্ব পালনের সময় অসু¯’ হয়ে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে সিনেট ভবনে এই ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষিকার নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ছিলেন। বাদ জুমা তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষিকার মৃত্যুতে ক্যাম্পাসজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুমী খন্দকারের একমাত্র মেয়ে ছিলো জান্নাতুল ফেরদৌস।
এদিকে সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃতুতে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতানা আক্তার। তিনি ফয়জুন্নেসা হলের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেছেন ম্যানুয়ালি গণনার সিদ্ধান্তের কারণে জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যু হয়েছে। কারন তাকে বৃহস্পতিবার সারাদিন অমানসিক পরিশ্রমের পরও পরদিন শুক্রবার তাকে চাপ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই তিনি সিনেট ভবনের দরজায় ধাক্কা লেগে পড়ে গেছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে বলেছেন, মতবিনিময়কালে বলেছিলেন মেশিনের মাধ্যমে কাউন্ট করা হবে। তাহলে সেদিনই রাত ১১টার মধ্যে রেজাল্ট মধ্যে হয়ে যেত। তিনি বলেন, অসু¯’ থাকার পরও তাকে গার্ড দিয়ে ডেকে নিয়ে আসা হয়। নির্বাচনন কমিশনের অব্যব¯’াপনার কারণে সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এমৃত্যুর বিচার চাই। এ মৃত্যুও দায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে নিতে হবে এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হব। তিনি এও জানান যে এই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার কারণে আরও অনেকেই অসু¯’ হয়ে পড়েছেন। তাই ভোট গণনা ব্যাহত হ”েছ। একারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গণনা করা হবে তাহলে তা কেন্দ্রে গণনা হলো না কেন ?
ভোট গণনা দেরি হবে ?
ইতিহাস বিভাগের এই অধ্যাপক জানান, জাকসু ভোট গণনায় তিনটি করে ভোট গণনা করতে হবে। ৮ হাজার ভোট কাস্ট হয়ে থাকলে একজন ভোটারের তিনটা করে ব্যালট মানে ২৪ হাজার ভোট গণনা করা লাগবে। এটা কিভাবে স্ম্ভব। এভাবে হলেওতো আরও তিনদিনেও সম্ভব হবে না। এই পদ্ধতির আমরা পরিবর্তন চাই। আমরা শিক্ষক। আমাদের পরিবার আছে। আমাদের শারিরীক মানসিক স্ট্রেস আছে। আমরা এই চাপ নিতে পারছি না।
হলগুলোর চিত্র
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলো ১১,৭৫৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮,০২৬ জন শিক্ষার্থী। ফলে এবারের নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার দাঁড়ায় ৬৮.২৫ শতাংশ। গতকাল বিকাল পর্যন্ত আন অফিসেয়েলি হল নির্বাচনের ফল আসে দৈনিক সংগ্রামের কাছে। তাতে দেখা যায় মীর মশাররফ হোসেন হলে ভিপি পদে-নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ জোবায়ের শাবাব (স্বতন্ত্র)। জিএস পদে জয় পেয়েছেন শাহরিয়ার নাজিম রিয়াদ (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন এবং এজিএস পদে জয় পেয়েছেন আরাফাত হোসেন।
শহীদ সালাম-বরকত হলে ভিপি পদে মারুফ নির্বাচিত হয়েছেন। জিএস পদে জয় পেয়েজেন মিষ্টু নির্বাচিত হয়েছেন।
ভাসানি হলে ভিপি পদে আন্দুল হাই স্বপন নির্বাচিত হয়েছেন। জিএস পদে জয় পেয়েজেন হৃদয় পোদ্দার।
১০ নং (ছাত্র) হলে ভিপি পদে আসিফ (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন। জিএস পদে জয় পেয়েজেন মেহেদি নির্বাচিত হয়েছেন এবং এজিএস পদে জয় পেয়েছেন নাদিম (শিবির)।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভিপি পদে রাকিবুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন। জিএস পদে জয় পেয়েজেন আলী আহমদ (শিবির) নির্বাচিত হয়েছেন এবং এজিএস পদে জয় পেয়েছেন লাবিব (ছাত্রদল)
এবং ২১ নং (ছাত্র) হলে ভিপি পদে ইবনে শিহাব নির্বাচিত হয়েছেন। জিএস পদে জয় পেয়েজেন ওয়ালি উল্লাহ আল মাহাদি নির্বাচিত হয়েছেন এবং এজিএস পদে জয় পেয়েছেন তুষার আহমদ শাওন।
২১টি হলের ভোট গণনা শেষ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ২১টি হলের গণনা শেষ হয়। এর আগে, বিকালে নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে জরুরি আলোচনা হয়। দেড় ঘণ্টা পর পুনরায় শুরু হয় ভোট গণনা।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ছাত্র হলের মধ্যে আলবেরুনী হলে ২১১, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৪১, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৯, মওলানা ভাসানী হলে ৫২১, ১০ নম্বর হলে ৫৪০, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫৬, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫৭, ২১ নম্বর হলে ৭৫২, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৯৯৪, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৫৪ ও মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৭৭ জন ভোটার রয়েছেন। অন্য দিকে, ছাত্রী হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮২, জাহানারা ইমাম হলে ৪০০, প্রীতিলতা হলে ৪০২, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪১৭, সুফিয়া কামাল হলে ৪৬০, ১৩ নম্বর হলে ৫৩২, ১৫ নম্বর হলে ৫৭৬, রোকেয়া হলে ৯৫৭, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৮০৮ ও বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল ভোট বর্জন করে।
কমিশনার মাফরুহী সাত্তারের পদত্যাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের পদত্যাগের কথা জানান তিনি।
মাফরুহী সাত্তার বলেন, নির্বাচনে লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি, বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে। অনেক অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ দেয়া হয়েছে যাতে আমি পদত্যাগ না করি। গতকাল থেকেই আমার ওপর চাপ ছিল, তবুও আমি পদত্যাগ করছি। এখন পদত্যাগ না করলে পরে যদি অনিয়মের কথা বলি, তখন তো প্রশ্ন আসবে কেন পদত্যাগ করি নাই। ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার জাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি।
এর আগে রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান জানান, ম্যানুয়েল পদ্ধতিতেই চলবে জাকসুর ভোট গণনা, ইতোমধ্যে গণনার কাজের জন্য পোলিং অফিসার বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং রাতের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোট গ্রহণের পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।