ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, আমরা আর কোনো অক্টোবর ট্র্যাজেডি চাই না। এখনই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্টোবর স্মৃতি ভবনস্থ টিভি কক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। সভাটি ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৪০ জন শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়।

ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ৪০টি প্রাণ হারানোর পরও যদি আমরা আজ পর্যন্ত কোনো শিক্ষা না নিই, তবে সেটি আমাদের জন্য চরম দুঃখের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ করছি-যেসব ভবন এখনো ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনই নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০ কোটি টাকার বাজেট রয়েছে। এই বাজেটের দ্রুত বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে, যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।

শোকসভায় ভিপি সাদিক বলেন, ১৫ অক্টোবর ১৯৮৫ সালে আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের ২৬ জন সহপাঠী, ১৪ জন স্টাফ ও অতিথিকে। এটি ঢাবির ইতিহাসে এক অমোচনীয় শোকের দিন। আমরা তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

তিনি আরও যোগ করেন, কোনো দুর্ঘটনায় মৃত্যু পৃথিবীর সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা। মুহূর্তেই পরিবারগুলো ভেঙে যায়, স্বপ্নগুলো শেষ হয়ে যায়। এই স্মৃতি আমাদের দায়িত্ববোধকে জাগিয়ে তুলবে।

ঢাবি ভিপি বলেন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, মুহসীন হল, সূর্যসেন হল, রেজিস্ট্রার ভবনসহ অনেক স্থাপনা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সভায় ১৯৮৫ সালের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, এই শহীদরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অংশ। আহত ও নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ডাকসুর পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করব।