ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও উদ্বেগ নিয়ে সবার আগ্রহ তুঙ্গে। আসন্ন নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা কাকে নেতৃত্বে দেখতে চান এবং তাদের মূল চাহিদাই বা কী—এসব নিয়ে প্রাক-নির্বাচনি জরিপ করেছে ন্যারেটিভ। এতে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।
গত মাসের ৩০ তারিখ থেকে চলতি মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত চলা প্রাক-নির্বাচনি জরিপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ডাকসু নির্বাচন ও টপ-থ্রি পজিশন নিয়ে কে কি ভাবছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।
এই অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সর্বমোট ১৪টি হল (৪টি মেয়েদের হল ও ১০টি ছেলেদের) থেকে ৫২০টি স্যাম্পল নেয়া হয়।
জেন্ডার, হল, বিভাগ এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশ্লেষণ করার জন্য, প্রতিটি শ্রেণি (যেমন: পুরুষ, নারী, প্রতিটি হল, প্রতিটি বিভাগ এবং প্রত্যাশা) থেকে দেওয়া ভোটকে ১০০ শতাংশ ধরা হয়েছে। এরপর, প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট এই শ্রেণিগুলোর মধ্যে কত শতাংশ, তা হিসাব করা হয়েছে।
জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল:
১. ভোট দিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৯৪.৮ শতাংশ এবং বাকি ৫.১৮ শতাংশ আগ্রহী না।
২. ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে কাকে ভোট দিবেন তা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ২৪.৭ শতাংশ এবং বাকী ৭৫.৩ শতাংশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন।
৩. সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে শামীম হোসেনের পক্ষে মতামত দেন ১৬.৫ শতাংশ ভোটার। আবু সাদিক কায়েমের পক্ষে ৪১.৯ শতাংশ। আবিদুল ইসলামের পক্ষে ১৩.৯ শতাংশ আর উমামা ফাতেমার পক্ষে ৮.৮ শতাংশ।
৪. সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ভোট কাকে দিবেন তা ঠিক করছেন ৬৬.১ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ৩৩.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনো ঠিক করেন নি তারা আসলে কাকে ভোট দেবেন।
৫. সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরাফাত চৌধুরীর পক্ষে মতামত দিয়েছেন ১৬.১ শতাংশ। মেঘমল্লার বসুর পক্ষে ৯.১২ শতাংশ। এস এম ফরহাদের পক্ষে ৩২.১ শতাংশ। তানবীর বারি হামিমের পক্ষে ১৬.১ শতাংশ। আর আবু বাকের মজুমদারের পক্ষে ১৩.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
৬. সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ভোট দেয়ার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ৪০.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।
৭. সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এজিএস পদে তানবীর আল হাদী মায়েদের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ১৫.৯ শতাংশ। মহিউদ্দিন খানের পক্ষে ৫২.৯ শতাংশ। আশরেফা খাতুনের পক্ষে ৯.৪৯। আর জাবির আহমেদ জুবেলের পক্ষে ৪.০৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।