ইবি সংবাদদাতা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত, আর্থ-সামাজিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমসহ সার্বিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ১৪ দফা সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
গত ২৮ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত কমিটির তৃতীয় সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দাবি বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনার পর এই সুপারিশগুলো চূড়ান্ত হয়। কমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম এবং সদস্য-সচিব ও উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মোঃ মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত ৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সভায় গৃহীত সুপারিশগুলো হলো, ভর্তি পরীক্ষা ও স্নাতক ১ম বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সকল সেমিস্টার পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের আবেদন সাপেক্ষে প্রতি ঘন্টায় ১০ মিনিট করে বাড়তি সময় প্রদানের ব্যবস্থা। হত দরিদ্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আবেদন সাপেক্ষে ভর্তি ফি, সেশন ফি ও গাড়ী ভাড়া অর্ধেক/ফুল মওকুফের ব্যবস্থা। ১ম বর্ষে ভর্তির পরপরই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আবেদন সাপেক্ষে হলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সিটের ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরী ও হল লাইব্রেরীতে প্রতিবন্ধীদের পৃথক রিডিং কর্ণার ও কম্পিউটার কর্ণারের ব্যবস্থা। শ্রবন প্রতিবন্ধীদের জন্য শ্রুতি লেখক এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল লিপির ব্যবস্থা। ইকসু নির্বাচনী অর্ডিন্যান্সে প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধি/সদস্য পদ নিশ্চিত করা।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষা বৃত্তি ও ফান্ড কালেকশনের ব্যবস্থা । আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে IT কর্মশালার ব্যবস্থা। প্রতি মাসে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০০/= (পাঁচশত) টাকা হারে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা। BNCC সদস্যদের মত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অনার্স ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত ফলাফলে ০.০৪ পয়েন্ট যোগের ব্যবস্থা। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বার্ষিক শিক্ষা সফর, দিবস পালন ও খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা।
একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হল গুলোতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্যবহার উপযোগী কমোডের ব্যবস্থা। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা প্রদান কেন্দ্র (Disability Support Centre) গঠনের ব্যবস্থা এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ইন্টার্নশীপ চালুর ব্যবস্থা।
সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রায় একটি বৈপ্লবিক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।