জবি সংবাদদাতা : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হলসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ তুলে নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সংগঠনের শাখা সভানেত্রী সুখীমন খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দৈনিক ইনকিলাবসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে ‘ইমু’ নামে এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রীসংস্থার নেত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উক্ত শিক্ষার্থী সংগঠনের কর্মীও নন।

ছাত্রসংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ওই শিক্ষার্থীকে সংস্থার প্যানেল থেকে ‘হল ভিপি’ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি ‘মিথ্যা ও অনুমাননির্ভর’ দাবি করে সংগঠনটি জানায়, আনুষ্ঠানিক প্যানেল ঘোষণার আগেই এমন তথ্য ছড়ানো উদ্দেশ্যমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।

সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের দুঃখপ্রকাশ এবং সংবাদ সংশোধন জরুরি উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জবি ছাত্রীদের অধিকার, কল্যাণ ও হল ব্যবস্থাপনায় সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তারা সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

বিবৃতিতে গণমাধ্যমকে সাংবাদিকতার নীতি ও দায়িত্বশীলতা বজায় রেখে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে, 'জবি ক্যান্টিনে খাবারে পোকা, প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করলেন ছাত্রীসংস্থার নেত্রী' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে।

এতে বলা হয়, জবির একমাত্র ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের ক্যান্টিনের খাবারে পোকা পাওয়া গেলে তা নিয়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রীসংস্থার নেত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা ইমু।