রাবি রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি মৌখিক পরীক্ষায় বিভাগভিত্তিক প্রাসঙ্গিক প্রশ্নই করা হচ্ছে। কেউ যদি এই নীতির বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন, তারা এর ফলও ভোগ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভিসি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “পরীক্ষায় আমরা নতুন পদ্ধতি চালু করেছি। এখানে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা পরিচিতির ভিত্তিতে কিছুই হয় না। কোনো সুপারিশে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের সুযোগ নেই।” রাবি নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, রুয়া নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই পক্ষপাতমূলক আচরণ করেননি। যারা অংশ নিয়েছেন তারা স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছেন, যারা আসেননি তাদের অনুপস্থিতি পক্ষপাতিত্বের কারণে নয়, অন্য কোনো কারণে। এই নির্বাচন সংবিধান মেনেই সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অশালীন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সবাই মত প্রকাশের স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু দায়িত্বশীলতার জায়গায় শিক্ষার্থীরা যে প্রতিচ্ছবি দেখানোর কথা, তা অনুপস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে অশ্লীল ও হীন ভাষা ব্যবহার করা সত্যিই লজ্জার। নারী-পুরুষ বিভেদ সৃষ্টিকারী এ ধরনের মন্তব্য শুধু তাদের নিজেদেরকেই ছোট করছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. ফরিদউদ্দিন খান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার প্রমুখ।