ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সঞ্চারণ ও সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজ-সিবিএসের সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিছক রাজনৈতিক পালাবদল নয়, এটি ছিল বাংলাদেশের মুসলিম জনচেতনায় জমে থাকা ক্ষমতা ও অধিকারহীনতার বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরণ।

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকাল ৩:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘জুলাই ও মুসলিম: রাজনৈতিক কর্তাসত্তা’ এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, লেখক ও বুদ্ধিজীবি ডা. ফাহমিদ-উর-রহমান এবং কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. উসামা আল-আযামী।

মাহমুদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী শক্তি পূর্বে এক থাকলেও এখন আমরা তাদের মধ্যে একটা বিভাজন দেখতে পাচ্ছি। ক্ষমতার প্রশ্নে সেটা হতেই পারে। কিন্তু তা যদি হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদী বয়ান ধার করে বিরোধিতা করা, তবে বিষয়টা উদ্বেগজনক।”

তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান করেন এবং সরকারকে আহবান করেন প্রয়োজনে সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের।

ফাহমিদ-উর-রহমান বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান বুঝিয়ে দিয়েছে যে, মুসলিম রাজনৈতিক কর্তাসত্তার ধারণা এখন আর কল্পনা নয়, এটি বাস্তব ইতিহাসের দাবিতে পরিণত হয়েছে।”

তিনি ইসলাম,জাতীয়তা ও জনগণের ঐক্য নিয়ে আধুনিক বাঙালি রাজনৈতিক চিন্তা গঠন ও পরিচর্যার জন্য প্রতিষ্ঠান ও কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

উসামা আল-আযামী জুলাই অভ্যুত্থানকে ইসলামী রাজনৈতিক পুনর্জাগরণের একটি সম্ভাব্য পয়েন্ট বলে তার বক্তব্যে আখ্যায়িত করেন।

সেমিনারে সিবিএসের প্রকাশিত গবেষণা সাময়িকী বাঙলানামার জুলাই সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন বাঙলানামার নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাঙলানামার সম্পাদক রাশিদুল হক তিমুর, সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের পরিচালক শিহান বিন ওমর, সঞ্চারণ: ঐতিহ্যের অনুরণনের প্রতিনিধি তোহা সেলিম, নৃবিজ্ঞানী খোন্দকার রাকিব প্রমুখ।