রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ নানা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে পৃথক ব্যানারে আন্দোলন করে আসছেন বিএসসি ও ডিপ্লোমা-ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এক আলোচনাসভা চলাকালীন বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী উপস্থিত হন, যারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। সেখানে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি ও অশোভন আচরণের জেরে শুরু হয় উত্তেজনা।

পরে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা বাইরে গেটে অবস্থান নেন এবং বিএসসি শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল গেট বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেয়। পরে ইট ছোঁড়াছুঁড়ি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হাতাহাতির এক পর্যায়ে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। একাধিক নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, তারা মারধরের পাশাপাশি হেনস্থার শিকার হয়েছেন। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরে সেনাবাহিনীর একটি দলও ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে।

ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধা নিহত : রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৭৮ বছর বয়সী সালেহা বেওয়া নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে নগরের মহিষবাথান রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সালেহা হড়গ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

রাজশাহী রেলওয়ে পুলিশ জানায়, সালেহা বেওয়া রেলের জমিতে বসবাস করতেন এবং বয়সজনিত কারণে তিনি কানে কম শুনতেন। ঘটনার সময় তিনি রেললাইনের পাশেই বসে ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদীগামী একটি মেইল লোকাল ট্রেন যাওয়ার সময় ট্রেনের হুইশেল দেয়া সত্ত্বেও সালেহা তা শুনতে পাননি। ট্রেন তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।