খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংশ্লিষ্ট ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল, ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ, স্নাতক ডিগ্রীর সনদ বাতিল এবং মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শনিবার(৩ মে) বিকেলে অনুষ্ঠিত এ সিন্ডিকেট সভা থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠণ করা হয়েছে। কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগ পর্যন্ত ওই ছাত্রের স্নাতক ডিগ্রীর সনদপত্র স্থগিত থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। খুবি ভিসি প্রফেসর ড. রেজাউল করিম এসব সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শুক্রবার(২ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা বিভাগের ১৮ ব্যাচের ছাত্র আবদুল্লাহ নোমান সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির মাথায় ধাতব কোন বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তিনি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারান। এসময় আম চুরি করতে যাওয়া ছাত্ররা পালিয়ে যায়। পরে আহত শিক্ষককে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে, শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার সংবাদ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল থেকে ছাত্ররা বেরিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করেন। তারা অভিযুক্ত ছাত্রের বিচার দাবি করে ভিসির বাংলোর সামনে অবস্থান নেন। শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান থেকে সরবেন না বলে জানান। একই সাথে ওই শিক্ষার্থীকে সাধারণ ছাত্রদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। রাত আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শনিবার(৩ মে) বিকেল তিনটায় জরুরী সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ভিসি প্রফেসর ড. রেজাউল করিম। এসময় প্রো ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ খানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিসি জানান, ২৩১ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি উল্লিখিত সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে নিকটস্থ হরিণটানা থানায় ফৌজদারি আইনে মামলা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বাদী হয়ে মামলা করবেন বলেও তিনি জানান।
এছাড়া ঘটনার তদন্তে গঠিত তিন সদসস্যের কমিটির প্রধান করা হয় প্রফেসর ড. মো: ইমদাদুল হককে। অপর দু’সদস্য হলেন প্রফেসর ড. মো: খসরুল আলম ও প্রফেসর ড. মো: আজমল হুদা।