জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সিনেট ভবনে চলছে গণনার কার্যক্রম। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ভোট গণনা শুরু হবে।
বিভিন্ন কেন্দ্রে কাস্ট হওয়া ভোটের গড় হার ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোট বিকেল ৫টায় শেষ হয়। এদিন ২১টি হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৯১৯ শিক্ষার্থী ভোটার। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৮ প্রার্থী। নির্বাচনে শিবির, ছাত্রদল, বামপন্থি ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট ৮টি প্যানেল অংশগ্রহণ করে।
তবে, নির্বাচনের অর্ধেক সময় পার হওয়ার পর কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার একটু আগে মওলানা ভাসানী হলের গেস্ট রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।
এর আগে কয়েকটি কেন্দ্রে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা অনিয়ম করে এবং ছাত্রদল প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে বিশৃংখলা করে বলে অভিযোগ করেন শিবিরের ভিপি প্রার্থী। এছাড়া ভোট চলাকালে ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতাসহ বহু বহিরাগত হলে অবস্থান করায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের একটি কক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহানকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনিয়মের অভিযোগে বিএনপিপন্থী কয়েকজন শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীদের বাক-বিতণ্ডার পর নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন তিন শিক্ষক।