নীলফামারীতে একাধিক মাধ্যেমিক বিদ্যালয়ে একাধিক পদে উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা অফিসার ও ডিজি’র প্রতিনিধি’র স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যেমে নিয়ম বহির্ভুতভাবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগকৃতরা বর্তমানে অবৈধভাবে বেতনভাতা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগ ও বেতন ভাতার ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিস্ক্রিয়তাকে ঘিরে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। জলঢাকা উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক কর্তৃক মাধ্যেমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায় ২৫ মে, ২০১৭ ইং তারিখ থেকে ১০ জুন ২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন। ঐ শিক্ষা কর্মকর্তা গত ১০/০৯/২০২৪ ইং তারিখে জলঢাকা উপজেলা হতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় বদলি হয়ে যায়। জলঢাকা উপজেলায় ঐ কর্ম সময়ের মধ্যে উপজেলার দক্ষিণ পাঠানপাড়া হালিম খাঁ বাখোরদেশ মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বেরুবন্দেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, রশিদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, গড়ধর্মপাল উচ্চ বিদ্যালয় ২০২৩ ইং সালের সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী নবসৃষ্ট ৪র্থ শ্রেণীর বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য ডিজিরপ্রতিনিধি দেন জেলা শিক্ষা অফিসার। কিন্তু ঐসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের কোন প্রক্রিয়া সে সময় গ্রহণ করে নাই। বর্তমানে কাগজপত্রে দেখা যায় ঐসব প্রতিষ্ঠানে ডিজিরপ্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একাধিক ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করেছে। এটা আইনত ফৌজদারী অপরাধ। ইতোমধ্যে ডিজি মহোদয়েরপ্রতিনিধি মাহফুজুল হক তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করার প্রত্যায়ন দিয়েছেন। নিয়োগগুলো নবেম্বর ২০২৩ইং সালে দেখানো হলেও এমপিওভুক্ত হয়েছে ডিসেম্বর ২০২৪ ইং সালে। বিধি মোতাবেক নিয়োগের ৬ মাসের মধ্যে বেতন ভাতা’র সকল প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। না হলে বেতন ভাতা দেয়ার কোন বিধান নেই, অন্যথা পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। তারা কিভাবে দীর্ঘদিন পূর্বে নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করলেও নির্ধারিত সময়ের পরে ওই সকল কর্মকর্তাদের বদলীর পরে বেতন ভাতা প্রক্রিয়া চালু করে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি জেলা শিক্ষা অফিস হতে করা হয় বলে অভিযোগে প্রকাশ। এমতাবস্থায় উক্ত বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষকসহ জড়িত সকলের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি আবেদন করেন।

অপর এক অভিযোগে জানা যায়, একই উপজেলার পাঠান পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হয় ২১ জুন ২০০২ সালে। বিধি মোতাবেক স্নাতকোত্তর সহ ১০ বছরের শিক্ষকতা/প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। বর্তমানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীপ্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ ০১/০৭/১৯৯৫ হলেও বিধি লঙ্ঘন করে তিনিপ্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ১০/০৭/২০০২ সালে। তিনি যোগদানের পর হতে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতে জড়িয়ে পড়েন। সর্বশেষ গত ১৬ বছরে ফ্যাসিষ্ট আমলে স্বেচ্ছাচারিতা আর আওয়ামীলীগেরপ্রভাব খাটিয়ে তার স্ত্রী কে লাইব্রেরিয়ান পদে গোপনে নিয়োগ প্রদান করেন। যা ঐ সময়ের সভাপতি ও অভিভাবক সদস্যদের কেউ জানেন না বলে অীভযোগে প্রকাশ। আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট প্রধান শিক্ষক এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন কীভাবে এমনপ্রশ্ন এখন জনমনে। অভিভাবক ও স্থানীয়রা দাবি করছেন, দ্রুত এই শিক্ষককে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণ করা হোক।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান সব কিছু নিয়ম নীতির মাধ্যেমে হয় না বলে দাবি করে বলেন, আপনারা এ সব নিয়ে কেন পড়ে আছেন, তাদের রুটি রুজিতে হাত দিবেন না।