ববি সংবাদদাতা: ইসকনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে এবং এই সংগঠনের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
ববি সংবাদদাতা: ববি সংবাদদাতা:
ববি সংবাদদাতা: ইসকনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে এবং এই সংগঠনের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।ইসকনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে এবং এই সংগঠনের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় ইসলামি ছাত্র আন্দোলনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়।
এর আগে, ২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার ফজরের নামাজের পর হাঁটতে বেরিয়ে অপহরণের শিকার হন গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজী। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর পঞ্চগড় থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত ইমামের অভিযোগ যে তাঁকে কয়েক মাস ধরে চিঠি দিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছিল। অপহরণকারীরা তাঁকে ইসকনের (ISKCON) পক্ষে কথা বলতে, রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে এবং নির্দিষ্ট ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলতে চাপ দিয়েছিল।
সমাবেশে ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন বলেন, "ইসকনের মতো উগ্র কোনো সংগঠনের ঠিকানা বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশ সবার, এখানে ধর্মীয় উসকানিতে কেউ কিছু করলে আমরা মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছি। যারা উগ্র পথে ধাবিত হচ্ছেন, তারা ধর্মীয় উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। এই বাংলাদেশ সবার, সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।"
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান বলেন, "৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের বি টিম-সি টিম ইসকন এদেশে আগ্রাসন চালিয়েছে যাচ্ছে। আমরা মুসলিমরা এতদিন ধৈর্য ধরেই ছিলাম, তবে বর্তমান সময়ে তাদের আগ্রাসন আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আর যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আরো কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।"
ইসলামি ছাত্র শিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, "২০২৪ বিপ্লবের পরেও আমার অ্যাডভোকেট ভাইকে চট্টগ্রামে হত্যা করেছে, অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে ইমামকে হত্যা চেষ্টা করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসকন। কোনো ধর্ম উগ্রতা শেখায় না। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসকনের কার্যক্রম চলমান। কয়েকজন শিক্ষক ইসকনের সঙ্গে যুক্ত থাকার তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাঁদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাঁদের শিক্ষকতার অধিকার নেই।" তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, "কোথাও গোপনে তাদের কার্যক্রম চললে তাদেরকে উপড়ে ফেলা হবে।"
তিনি আরো বলেন,আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই ইফতিয়ার উদ্দিন যখন উপমহাদেশে এসেছিলেন, তখন ইসকনের পূর্বপুরুষেরা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছিল। এদেশের মাটিতে ইসকনকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তার জন্মভূমিতে ফিরে যেতে হবে, নতুবা ইসকনের জন্মভূমির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এ সময় শিক্ষার্থীরা "নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর", "বখতিয়ারের তলোয়ার গরজে ওঠো আরেকবার", "শাহজালালের বাংলায় ইসকনের ঠাঁই নাই", "দ্বীন ইসলাম দ্বীন ইসলাম, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ", "ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী", "ইসকনের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না" ইত্যাদি স্লোগান দেয়।