ইবিতে ‘গবেষণায় অন্তর্দৃষ্টি ও নেতৃত্বের উত্তরণ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইবি সংবাদদাতা : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রিসার্চ সোসাইটির আয়োজনে “গবেষণায় অন্তর্দৃষ্টি এবং নেতৃত্বের উত্তরণ” শীর্ষক একটি গবেষণা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের গগন হরকরা গ্যালারিতে দিনব্যাপী এটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে রিসার্চ সোসাইটির সভাপতি সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মহিমা আক্তার ও শারমিন আক্তার শর্নার যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মনজুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গাজী মো: আরিফুজ্জামান খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক হাবিবুর রহমান। এছাড়াও মূখ্য আলোচক ছিলেন মার্কেটিং ওয়েভ কিংডমের পরিচালক উজ্জ্বল ইয়ামান চৌধুরী। সেমিনারে গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এতে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের গবেষণা ক্যারিয়ার বিনির্মাণ এবং গবেষণায় অন্তর্দৃষ্টি অর্জন ও নেতৃত্বের পরিবর্তন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমের গুণগত মান উন্নয়ন এবং নেতৃত্বের সুষ্ঠু হস্তান্তর নিশ্চিত করতে নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে মার্কেটিং ওয়েভ কিংডমের পরিচালক উজ্জ্বল ইয়ামান চৌধুরী বলেন, “এখন প্রতিনিয়ত কর্মচাহিদা পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের যুগ। সকল কর্মক্ষেত্র গুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দখল করে নিচ্ছে। পরিবর্তিত যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে নিজেকে যোগ্য করতে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সব করতে পারলেও তার ভেতরে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা নেই। যেটা আমার আপনার কাছে আছে। এটাকে কাজে লাগাতে হবে। যা দুর্বলতা তার পিছনে সময় নষ্ট না করে যোগ্যতাকে শাণিত করতে হবে।” সেমিনারে ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, "বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকার একটি বড় কারণ হলো রিসার্চ অ্যাক্টিভিটি কম থাকা। উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের নিজস্ব জার্নাল থাকে, যেখানে তারা রিসার্চ রিভিউ, রেফারেন্স যাচাই ও আপডেট করে। দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই রিসার্চ মেথডোলজি শেখানো উচিত, যাতে শিক্ষার্থীরা দিক নির্ধারণ ও গবেষণায় অভ্যস্ত হয়। বিজ্ঞান শিক্ষার্থীরা ল্যাবে কাজের মাধ্যমে পরীক্ষণ শিখে, আর সামাজিক বিজ্ঞানীরা তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন আইডিয়া তৈরি করে। রিসার্চে শুধু উপস্থিত হওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া জরুরি। যারা রিসার্চে কাজ করছে, তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব ও সম্পদ। শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে সবাইকে যুক্ত করতে হবে এবং গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।"