মোঃ খোরশেদ আলম কলারোয়া (সাতক্ষীরা) : কলারোয়া উপজেলার ১১ নং ইউনিয়নের দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির অবকাঠামো উন্নয়নের দিক দিয়ে উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সব থেকে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৩ সালে। সেখান থেকে আজ পর্যন্ত সুনামের সাথে চলে আসছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে ১৯৯৩ -৯৪ সালে সরকারি অর্থে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়েএকটি বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক।
বর্তমান বিদ্যালয়ে প্রায় ৫২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী লেখা পড়া করছে। দক্ষ শিক্ষকদের দিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। যার কারণে প্রতিবছর ভাল ফলাফল করে থাকে ছাত্র ছাত্রীরা। গত সেশনে প্রায় ৯৮% শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে ছিল । এই বিদ্যালয়ে একটি টিন সেড আছে সেখানে ক্লাস করানো হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা গরমের সময় কষ্টের মধ্যদিয়ে সেখানে পড়া লেখা করে থাকে। ঝড় বৃষ্টির সময় ভয়ভীতির মধ্যে তাদের নিদিষ্ঠ সময় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে হয়। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা সে সময় স্কুলে না বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকে। এ কারণে পরবর্তীতে ছেলে মেয়েরা পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারে না বলে অভিভাবকগণ মনে করেন।
এ বিষয় অভিভাবকদের কাছে জানতে চাইলে তুজাম বলেন, ছেলে মেয়েদের ঝড় বাদলের সময় স্কুলে পাঠিয়ে আমরা বাড়িতে বসে থাকতে পারি না। কারণ কখন টিন উড়ে যায় আমাদের ছেলে মেয়েদের ক্ষতি হয়। গরমের সময় তাপের কারণে সেখানে বসে ক্লাস করা তাদের কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। অভিভাবকরা মনে করেন, কলারোয়া উপজেলার ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়য়ের মধ্যে তাদের স্কুলটি সব চেয়ে বেশি অবহেলিত। বিদ্যালয়টি অবকাঠামো উন্নয়ন অতিজরুরি।
৭ম শ্রেনীর ছাত্রী অহনা বলে, টিন সেডের মধ্যে গরমের সময় ক্লাস করা আমাদের অনেক কষ্ট হয়। কারণ বিদ্যুৎ যখন না থাকে এখানে আমরা বসতে পারি না। সে সময় আমাদের পাঠদান ব্যবহত হয়। আমাদের স্কুলের নতুন ভবন চাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সালাম জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। বিদ্যালয়টির বেহাল দশা ক্লাস করা কষ্টকর। তাই নতুন ভবনের আশু প্রয়োজন।
এ বিষয় এলাকার সুশিলসমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ বলেন, নতুন ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হতে চায় না। বিদ্যালয়ের এমন খারাপ অবস্থা দেখে তাদের ছেলে মেয়েদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়টির অবকাঠামো উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়ন অতিব জরুরি।