বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, “আমরা এমন একটি সংবিধানের স্বপ্ন দেখি যে সংবিধানে আর কোনো মা-বোনকে স্বামী-সন্তানের জন্য রাতে অপেক্ষা করতে না হয়। কোন মা বোনকে যেন তাহাজ্জুদে বসে কাঁদতে না হয়। আর কোনো কার্টুনিস্টকে জেলে মরতে না হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাক্সক্ষার বাংলাদেশ’ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা সাংবিধানিকভাবে এমন একটি জায়গায় যেতে চাই যেখানে সকল শহীদদের রক্তের মূল্য দেয়া হবে। একটি স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। আমরা রাষ্ট্রকে একটি সুসংগঠিত কাঠামোর মাধ্যমে গড়ে তুলবো।”
অনুষ্ঠানের সভাপতি রাবি ভিসি সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, রাষ্ট্রের সকল সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো সুশিক্ষা। শ্রেষ্ঠতম সংবিধান অনেক খারাপ কাজ আটকে দিতে পারে কিন্তু একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠন করতে পারে না। ২৪ এর জুলাই আগস্ট আমাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। নতুন চিন্তাকে ধারণ করতে হলে আমাদের পুরাতন ধারা থেকে বেড়িয়ে আসবে। এটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান আরো বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৫ শতাধিক মানুষ শহীদ হয়েছে, ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে এবং গত ১৭ বছরে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নির্বিচারে শহীদ হয়েছে। ৬০ লক্ষ মানুষ বিনাদোষে রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছে যার ৯৯ ভাগ মামলার বাদি ছিল পুলিশ। আপনারা গর্বের সাথে বলতে পারবেন গত এক বছরে একটাও গুম হয়নি।” তিনি আরো বলেন, “পলাতক সরকার ৩০ হাজার মানুষকে গুম করেছে। আমরা এই অপরাধের বিচার করতে যাচ্ছি। এই অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় যারাই অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকেই বিচারের আওতায় আনা হবে।”