ইবি রিপোর্টার : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল’র (আইকিউএসি) আয়োজনে ‘অফিস ব্যবস্থাপনা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ভবনের ৪র্থ তলায় অবস্থিত আইকিধউএসির সভাকক্ষে সকাল ১০টায় এ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম শুরু হয়। আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নাজিমুদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিস ও বিভাগের ৬০ কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেলের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, সীমিত অর্থায়নের কারণে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। ইকুইপমেন্টস, লজিস্টিক সাপোর্ট, জনবল ও অর্থ স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আমাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে হবে। নিয়ম-শৃঙ্খলা ও কর্মচারী বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। আপনারা নিয়মিত অফিসে আসবেন, কর্মঘন্টা শেষ করে কর্মস্থল ত্যাগ করবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্যতা অর্জনে কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সাথে তৎপর থাকা দরকার। যে-প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তারা তাদের পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে পারেন, সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য দায়িত্ব পালন করা নৈতিক-মানবিক-ধর্মীয় দায়িত্ব। তিনি বলেন, হৃদয় এবং মনের সাথে যদি সংযোগ সাধন না-ঘটে কোন ট্রেনিং-এ কাজ হবে না। সবার আগে মাইন্ড সেটকে ঠিক করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষকরা যদি না-পড়ান তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় বলে স্বীকৃত হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় মানে হল যেখানে পড়ানো হয়, গবেষণা হয়। আর এই কাজে সহযোগিতার জন্য একটা অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দরকার, একটা ম্যানেজমেন্টের দরকার। পৃথিবীর তাবৎ ভালো জিনিস নষ্ট হয়ে যেতে পারে ব্যাড। অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জন্য, ম্যাল এডমিনিস্ট্রেশনের জন্য।