ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাই প্রজন্মের বিজয় হয়েছে - সাদিক কায়েম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় পেয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট ’। বড় ব্যবধানে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ অন্যান্য সম্পাদকীয় পদে জয় লাভ করে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে জয় পায় শিবির প্যানেল। আর মোট ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টি পদেই জয় পায় তারা। বাকি পাঁচ পদে জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর একাংশের জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ বাদে ছাত্রদলসহ অন্য প্যানেলের প্রার্থীদের কেউ জয় পায়নি। এদিকে ডাকসুতে শিবির নেতাদের বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। তবে শিবির বিজয় র্যালির পরিবর্তে শুকরিয়া আদায় ও ইবাদতের কর্মসূচি দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করতে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা বেজে যায়। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ভিপি পদে শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট ও জিএস পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট ও জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম ৫ হাজার ২৮৩ পেয়েছেন ভোট। শিবির নেতা মহিউদ্দিন খান এজিএস পদে বিজয় নিশ্চিত করতে পেয়েছেন ১১,৭৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পান ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
সম্পাদকীয় বাকী পদগুলোর মধ্যে শিবির সমর্থিত প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন ফাতিমা তাসনিম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, কমন রুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে জসীম উদ্দিন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. জাকারিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরমান হোসেন এবং ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আব্দুল্লাহ জয়ী হয়েছেন। বাকী তিনটি পদের মধ্যে রয়েছে সমাজসেবা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবাইর বিন নেছারী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বী।
১৩টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন- সাবিকুন নাহার তামান্না (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ১০ হাজার ৮৪,সর্ব মিত্র চাকমা (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৮ হাজার ৯৮৮,ইমরান হোসাইন (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ২৫৬, মোছা. আফসানা আক্তার (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৭৪৭, তাজিনুর রহমান (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৬৯০, রায়হান উদ্দীন (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৮২, মো. মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ১৫, আনাস ইবনে মুনির (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ১৫ হেমা চাকমা (প্রতিরোধ পর্ষদ)-প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৯০৮, মো. বেলাল হোসেন অপু (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৮৬৫, মো. রাইসুল ইসলাম (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৫৩৫, মো. শাহিনুর রহমান (ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল)-প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৩৯০, উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া (স্বতন্ত্র)-প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ২০৯।
এবারের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ এবং ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ জন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়েছেন ৪৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন প্রার্থী।
ডাকসুতে ভিপি পদে নির্বাচন করে ১০ ভোটের বেশি পাননি এমন প্রার্থীর সংখ্যা ২১ জন। এছাড়া ৫০টির নিচে ভোট পেয়েছেন আরও ১১ জন ভিপি প্রার্থী।
এক দম্পতির জয়
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সর্মথিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে এক দম্পতি এক সঙ্গে জয় লাভ করেছেন। তারা হলেন-রায়হান উদ্দিন ও উম্মে সালমা। ৯ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক হিসেবে জয় পেয়েছেন উম্মে সালমা। আর ৫ হাজার ৮২ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন রায়হান উদ্দিন।তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। রায়হান ২০১৮-১৯ সেশনের ও উম্মে সালমার ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।
১০ ভোটের বেশি পাননি যারা
আসিফ আনোয়ার অন্তিক ৫ ভোট, জালাল আহমেদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল (প্রার্থিতা বাতিল) ৮ ভোট, দ্বীন মোহাম্মদ সোহাগ ৬ ভোট, মাহদী হাসান ৯ ভোট, মুহাম্মদ আবু তৈয়ব ১০ ভোট, আজগর ব্যাপারী ৬ ভোট, শাফি রহমান ৬ ভোট, আতাউর রহমান শিপন ৫ ভোট, আবুল হোসাইন ৭ ভোট, উজ্জ্বল হোসেন ৬ ভোট, নাছিম উদ্দিন ২ ভোট, ফয়সাল আহমেদ ৪ ভোট, মুদাব্বীর রহমান ৩ ভোট, রাসেল মাহমুদ ৭ ভোট, সোহানুর রহমান ২ ভোট, হাবিবুল্লাহ ২ ভোট, হেলালুর রহমান ৩ ভোট, জান্নাতী বুলবুল ৬ ভোট, যায়েদ বিন ইকবাল ৭ ভোট, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ৮ ভোট, শাহ জামাল সায়েম ৩ ভোট।
৫০টির নিচে ভোট পেয়েছেন ১১ জন
আব্দুল ওয়াহেদ পেয়েছেন ২৭ ভোট, আরিফুল ইসলাম ২৩ ভোট, ছাদেক হোসেন ৩৯ ভোট, জাহিদ হাসান ১৭ ভোট, তাহমিনা আক্তার ২৬ ভোট, মারজিয়া হোসেন জামিলা ৩৫ ভোট, দেলোয়ার হোসেন ১২ ভোট, নাইম হাসান ২৪ ভোট, রাহুল দেব রায় ২০ ভোট, সুমিত সেন ১৪ ভোট, আল-আমিন ইসলাম পেয়েছেন ১০ ভোট।
বেশি ভোট পেয়েছেন ৯ জন
বাকি ৯ জন প্রার্থী ভিপি পদে কিছুটা বেশি ভোট পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী সাদিক কায়েম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন ৩ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। চতুর্থ অবস্থানে থাকা উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট, পঞ্চম অবস্থানে থাকা আব্দুল কাদেরের ভোট ১ হাজার ১০৩টি। জামালউদ্দীন খালিদ পেয়েছেন ৫০৩ ভোট, বিন ইয়ামীন মোল্লা ১৩৬ ভোট ও শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ৬৮ ভোট, ইয়াছিন আরাফাত ৬২ ভোট।
বিভিন্ন দলের অভিনন্দন
শিবির নেতাদের বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও বিজয়ীদের অভিনন্দন জানায়। সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ডাকসু নির্বাচনে যারা জয়ী হয়েছেন, তাদের অভিনন্দন জানাই। এটা গণতন্ত্রের রীতি। গণতন্ত্রের রীতিতে সবাইকে অভিনন্দন জানাতে হবে। কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। যেহেতু বহুদিন পর নির্বাচন হয়ছে। এক ফেসবুকে পোস্টে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর লিখেছেন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানপরবর্তী ঐতিহাসিক ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বন্ধুদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের প্রার্থী হিসেবে যারা অংশগ্রহণ করেছেন এবং যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানায় প্লাটফর্মটি।
সাদিক কায়েমের প্রতিক্রিয়া
ফল ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলনে সাদিক কায়েম বলেন ডাকসু নির্বাচনে জয় অথবা পরাজয়ের কিছু নেই। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাই প্রজন্মের বিজয় হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাইয়ের আকাক্সক্ষার বিজয় হয়েছে, শহীদদের বিজয় হয়েছে। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া একথা বলেন তিনি।
এ সময় সাদিক কায়েম জুলাই শহীদদেরে স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি। সাদিক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা ক্যাম্পাসকে স্বপ্নের ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলব। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের কাছে আমানত রেখেছে, সেটি রক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ডাকসুর ভিপি হিসেবে পরিচিত হতে চাই না। আমি কাম্পাসের বোনদের একজন ভাই হিসেবে পরিচয় দিতে চাই, আমি ক্যাম্পাসের ছোট ভাইদের একজন ভাই হিসেবে পরিচয় দিতে চাই, বড় ভাইদের স্নেহের ছোট ভাই হিসেবে পরিচয় দিতে চাই। একজন বন্ধুর বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিতে চাই। শিক্ষকদের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমি কথা দিচ্ছি, সাদিক কায়েমকে আগেও যেভাবে দেখেছেন। এখনও সেভাবেই পাবেন। শিক্ষার্থীদের যেকোনও সমস্যায় পাশে থাকব।
শিবিরের কর্মসূচি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এ বিজয় উদযাপন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর বিজয়ের মাধ্যমে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বিজয়ী হয়েছে। এ নির্বাচনে যারা বিভিন্ন প্যানেল থেকে ও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মহান আল্লাহ তায়ালা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্বের আমানত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের যথাযথভাবে রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আমীন। এতে আরও বলা হয়েছে, ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের এই ঐতিহাসিক বিজয় উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো-
১. শুকরিয়া আদায় করে দোয়া মাহফিল ও শব্বেদারি (নৈশ ইবাদত) বাস্তবায়ন। ২. শহীদদের কবর জিয়ারত এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শিবির সভাপতি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে ছাত্রশিবিরের সব মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, শহর ও জেলা শাখাকে উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি কোনো ধরনের আনন্দ মিছিল, শোভাযাত্রা বা র্যালির আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। রাব্বে কারিম, আমাদের সব তৎপরতা তার দ্বীনের জন্য কবুল করুন।