ওসমান শরীফ হাদীর মৃত্যুত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া প্রতিবাদ সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবির সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমানের উদীচী ও ছায়ানট নিয়ে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গতকালকের বক্তব্যের ব্যখ্যা দিয়েছেন তিনি।

গতকাল ১৮ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। পরে আজ (১৯ ডিসেম্বর) রাতে একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে 'স্পষ্ট ব্যখ্যা' দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বক্তব্যে তিনি 'তছনছ' বলতে বয়ান ভাঙ্গাকে বুঝিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, গতকাল শহীদ ওসমান শরীফ হাদী ভাইয়ের মৃত্যু পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টিকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল-নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবেলা করা।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "সার্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বক্তব্যে শব্দচয়নে কিছুটা তাড়াহুড়ো হয়ে হয়েছে। তবে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট-আমরা নিয়মতান্ত্রিক পথেই আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে চাই। বহু জনশক্তির খুনের পরও ইসলামী ছাত্রশিবির ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এসেছে। আগামী দিনেও আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো। শাহাদাত আমাদের তামান্না, লড়াই আমাদের ধারাবাহিকতা-তবে সেই লড়াই ভাঙার চেয়ে গড়ার দিকেই মনোযোগী।"

উদীচী ও ছায়ানটকে প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে মোকাবেলা করবে উল্লেখ করে আরও বলা হয, "উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবেলা করবো।"

এর আগে, গতকাল ওই সমাবেশে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "আমাদের লড়াই শেষে হবে ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে হাদী ভাই বাম ও শাহবাগীদের যে বয়ান ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছেন তা শেষ করার মধ্য দিয়ে। আগামীকাল থেকে বাম, শাহবাগী, উদীচী ও ছায়ানটকে তছনছ করে দিতে হবে।"