সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধীনস্থ চাইনিজ কর্নার ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “বাংলাদেশ-চায়না টি সামিট ২০২৫”।

আগামী মঙ্গলবার (২০ মে ) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ সোশ্যাল সায়েন্স বিল্ডিংয়ে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে এই ব্যতিক্রমধর্মী সামিটের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “বাংলাদেশ-চীন চা বাণিজ্য ও সহযোগিতা উন্নয়ন”।

সামিটে চীন থেকে ১২ জন চা ব্যাবসায়ী এবং উদ্যোক্তা অংশ নিবে। সামিটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশি চা ব্যবসায়ীরা চীনা উদ্যোক্তা ও আমদানিকারকদের সামনে সরাসরি নিজেদের পণ্য তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। এতে করে চীনের বাজারে বাংলাদেশি চায়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক ধারণা লাভ করা যাবে।

উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এই সামিট স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চা বাণিজ্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। অংশগ্রহণকারীরা চা রপ্তানিতে ব্যাবসায়ী টু ব্যাবসায়ী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি পদ্ধতি সহজীকরণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগও পাবেন।

বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকদের উপস্থিতিতে আলোচনা হবে প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা, বাজার সম্প্রসারণ কৌশল, সরকারি নীতিমালার সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে। সামিটে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে স্টল প্রদর্শনের এবং বিভিন্ন রকমের চা পানের সুযোগ। প্রতিটি স্টলের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ ফুট বাই ৬ ফুট। স্টলের সঙ্গে থাকবে দুটি টেবিল, তিনটি চেয়ার, বৈদ্যুতিক সকেট, লাইটিং এবং একটি স্ট্যান্ড ফ্যান।

রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০০ টাকা এবং রেজিস্ট্রেশনের শেষ সময় ৫ মে। অংশগ্রহণকারীরা পাবেন আকর্ষণীয় গিফট ব্যাগ ও লাঞ্চ প্যাক। সামিটে চা শিল্পের উপর কয়েকটি একাডেমিক সেশনেরও আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সকল চা বাগান মালিক, উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের এই সামিটে অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এই আয়োজন শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, বরং এটি একটি বৃহৎ সম্ভাবনার মঞ্চ, যেখানে দেশি চা শিল্প আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশ-চায়না টি সামিট ২০২৫ চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে এ ব্যাপারে চায়নিজ কর্নারের সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সাহাবুল হক বলেন, সিলেট, মৌলভীবাবার এবং হবিগঞ্জ রয়েছে প্রায় দেড়শ চা বাগান।

এই সামিটের মাধ্যমে এই এলাকার চা ব্যাবসায়ীদের সাথে চীনের চা ব্যাবসায়ীদের একটি যোগসূত্র স্থাপিত হবে। এটি বাংলাদেশ এবং চীনের চা বাগান মালিক, উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের জন্য বড় সুযোগ। এই ধরণের উদ্যোগ সিলেটে এই প্রথম। এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিৎ।

রেজিস্ট্রেশন বা অন্যান্য তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বোরহানের সঙ্গে, যিনি এই আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছেন। যোগাযোগ নম্বর: ০১৮৭৬-৯৩৭৫৬৬। ইমেইল: [email protected]