এটি এবারের ডাকসু নির্বাচনে কোনো প্যানেলের প্রথম ইশতেহার।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ছাত্রদল মনোনিত 'আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ' তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। ইশতেহারে মোট ৬৫টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল মনোনিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমের সঞ্চালনায় সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান লিখিত ইশতেহারটি পাঠ করেন। এ সময় প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদসহ অন্য প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইশতেহারে শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক, আনন্দময়, বসবাসযোগ্য ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে। পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার্থীদের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যবিমা, কারিকুলাম ও গবেষণার আধুনিকায়ন, পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও শাটল সার্ভিস, হয়রানিমুক্ত প্রশাসনিক সেবা, শিক্ষাঋণ ও কর্মসংস্থান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ, ডিজিটাল সুবিধা ও সাইবার নিরাপত্তা, পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাণীবান্ধব ক্যাম্পাস এবং কার্যকর ডাকসু প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ইশতেহারে আরও রয়েছে— গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দমন–নিপীড়নের মতো চর্চা বন্ধ করে ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বমুক্ত করা, নতুন আবাসিক হল নির্মাণ করে ভর্তির দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য 'একটি সিট ও একটি পড়ার টেবিল' নিশ্চিত করা, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি বৃদ্ধি ও খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি হলে স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট, মেডিকেল সেন্টারে নারী চিকিৎসকের উপস্থিতি, সান্ধ্য আইন বিলোপ ও পোশাকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও ইশতেহারে রাখা হয়েছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা, জরুরি ওষুধ বিনা মূল্যে সরবরাহের অঙ্গীকারও করা হয়েছে।
কোর্স কারিকুলাম নিয়মিত পর্যালোচনা, ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ডিজিটালাইজেশন, নতুন বাস রুট, মেধাভিত্তিক বৃত্তি ও শিক্ষাঋণ, ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং প্রাণীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার প্রতিশ্রুতিও তারা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের অলিম্পিয়াড, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার ও একাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতিও ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।