গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা : চলনবিল রক্ষায় প্রস্তাবিত বুড়ি পোতাজিয়া থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে চলনবিল রক্ষা আন্দোলন। বুধবার বিকেল ৫টায় গুরুদাসপুরের চলনবিল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি করেন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা।

চলনবিল প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আক্কাছের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ, চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, বড়াল ও নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য রোকসানা আক্তার লিপি, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুদ রানা, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম, ডা. এসএম আতিকুল আলম।

বক্তারা বলেন, ‘‘চলনবিল রক্ষার্থে বুড়ি পোতাজিয়া স্থানের পরিবর্তে অন্য কোনো জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ও চাই, চলনবিলও চাই।’’

জানা যায়- চলনবিলে পদ্মা, আত্রাই, বড়ালসহ ৪৭টি নদী, ১৬৩টি বিল, ৩০০টির বেশি ক্যানেলসহ লক্ষাধিক পুকুরের জলরাশি প্রবাহিত হওয়ার একমাত্র পতিতমুখ বুড়ি পোতাজিয়া। সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে বুড়ি পোতাজিয়ায় ওই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে নদী। আবার ছোট স্লইচগেটের কারণে সংকুচিত হয়েছে গোহালা নদী। এর ফলে পানি প্রবাহ কমে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরও সংকটে পড়বে। এতে হাজার বর্গকিলোমিটারের চলনবিল জলাবদ্ধতাসহ নানারকম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।