জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ২০২৫) সকাল ১১টায় ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার মানোন্নয়ন, সিলেবাস আধুনিকীকরণ, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং কর্মসংস্থান উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই অংশীদারিত্ব স্থাপন করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য এই চুক্তিকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের পথ প্রশস্ত করতে সিলেবাস সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ডিগ্রিধারী নয়, দক্ষ, আত্মবিশ্বাসী এবং মানবিক গুণসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই চুক্তির মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

চুক্তির আওতায় ইউনিসেফ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সিলেবাস উন্নয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, আইসিটি সহযোগিতা, ইংরেজি ও সফট স্কিল প্রশিক্ষণ, শিল্প ও চাকরির বাজারের চাহিদা নিরূপণে গবেষণা এবং জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রেরণা ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের পক্ষে কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ফারুক অ্যাড্রিয়ান ডুমুন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

এই চুক্তিকে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।