রাবি রিপোর্টার : নিপীড়নবিরোধী দিবস ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ-বিরোধী সংগ্রামের অগ্রনায়ক শহীদ আবরার ফাহাদের ৬ষ্ঠ শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। গত মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরে ওয়েলফেয়ার ভবনে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম। সভাপতিত্ব করেন, রাবি শাখার সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, সাবেক কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ নুরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক আব্দুর রহিম, রাজশাহী মহানগর সভাপতি মো. শামিম উদ্দিন, রাজশাহী মহানগর সেক্রেটারি ইমরান নাজির ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ছাত্রশিবির সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শহীদ আবরার ফাহাদ ইসলাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে জীবন উৎসর্গ করার আকাক্সক্ষা রাখতেন এবং এই আকাক্সক্ষাই তাকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে প্রেরণা জুগিয়েছে। আমাদেরও উচিত শহীদ আবরার ফাহাদের মতো অন্যায্যতার বিরুদ্ধে থাকা এবং প্রয়োজন হলে এই পথে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখেছি বিগত আমলে ক্যাম্পাসগুলোতে পাঁচ সহস্রাধিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ১৪০০ নির্যাতন ছিল এমন ছাত্রদের ওপর, যারা কোনো ছাত্রসংগঠনের সাথে জড়িত ছিল না এবং এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর দ্বারা ছাত্রশিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়। এভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোতে নৈরাজ্য, সিট বাণিজ্য, ট্যাগিং, অন্তর্কোন্দল এবং বড় ভাই রাজনীতি অব্যাহত রেখে ক্যাম্পাসগুলোকে অনিরাপদ করে রেখেছিল।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসাত্মক হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। বাংলাদেশে জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে অযোগ্য লোকদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করেছে। যেখানে শিক্ষাপদ্ধতি, কারিকুলাম, শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যেকটি ধাপে ছিল অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে পোষ্য কোটার মতো জঘন্য ইস্যুতে কতিপয় শিক্ষক নীতি-নৈতিকতা বিকিয়ে দিচ্ছেন। তারা আবার তথাকথিত বুদ্ধিজীবীও বটে।’