“জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অবদান অন্তত ৫০ শতাংশ”—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এমন মন্তব্য করে বলেন, “তাদের কোনো ব্যক্তিগত দাবি ছিল না, তারা দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজপথে নেমেছিল।”
রোববার (২০ জুলাই) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে “জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ” অনুষ্ঠানের আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান।
ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষার্থীদের ৭০ ভাগই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, শহিদ হয়েছে, আহত হয়েছে—কিন্তু সেই অবদান আজও পুরোপুরি স্বীকৃতি পায়নি।”
তিনি আরও জানান, “শহিদদের স্মরণে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি শিক্ষা বৃত্তি’ চালু হয়েছে এবং আহত ও শহিদ পরিবারের শিক্ষার্থীদের সকল ফি মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।”
ভাইস-চ্যান্সেলর আমানুল্লাহ বলেন, “বিশ্বের অনেক গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে অভ্যন্তরীণ মতভেদের কারণে। জুলাই চেতনা বাঁচিয়ে রাখতে ঐক্য ও শৃঙ্খলার প্রয়োজন রয়েছে, যা শিক্ষা ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে “জুলাই শহিদ স্মৃতি শিক্ষা বৃত্তি” কার্যক্রমের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিধি ড. মোঃ আশেক কবির চৌধুরী, মোঃ এনামুল করিম, মোসলেম উদ্দিন, হাদিউজ্জামান, মিয়া হোসেন রানা, আবু হানিফ খন্দকার, আকরাম হোসেন, মাসুদুর রহমান, ইয়াকুব হোসেন, আলমগীর সরকার, মিয়াজউদ্দিন প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন আহমেদ শিশিম।