শিক্ষাঙ্গন
কুয়েট সংঘর্ষ
দুই দফার পর ‘আরও সময় লাগবে’ তদন্ত কমিটির
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির দুই দফা সময় বাড়ানোর পরও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। কমিটির দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাচ্ছে না।
Printed Edition
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির দুই দফা সময় বাড়ানোর পরও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। কমিটির দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে তারাও প্রতিবেদন দিতে পারছেন না। কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে, সেটিও জানাতে পারেনি তারা। কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এম এম এ হাশেম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা চলে গেছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নেই। এর জন্য সময় লাগবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও তদন্ত কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত দোষী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটির জন্য নির্ধারিত তিন কার্যদিবস শেষ হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি ৭ কর্মদিবস সময় বাড়ানোর জন্য প্রশাসন বরাবর আবেদন করে। সেই বর্ধিত সময়ের শেষ দিন ছিল ৫ মার্চ।
অধ্যাপক হাশেম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার না নিতে পারলে, আমরা প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারছি না। তবে আমাদের কাজ চলছে। ঘটনার অংশীজনদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আমরা যাচাই করার চেষ্টা করছি।’ কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া যাবে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে “সময় লাগবে” জানিয়ে আবেদন করেছি। এখন তো বিশ্ববিদ্যালয় এমনিই বন্ধ। দেখা যাক, কর্তৃপক্ষ বা সিন্ডিকেট কত দিন সময় দেয়।’
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) শাহ মুহাম্মদ আজমত উল্লাহ। সদস্য হিসেবে আছেন শহীদ স্মৃতি হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু জাকির মোর্শেদ।