যশোর সংবাদদাতা : যশোরের অভিভাবক সমাজের দীর্ঘদিনের একটি অভিন্ন সমস্যা মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে না পাওয়া। সন্তানদের জন্য এমন একটি পরিবেশ যেখানে ইসলামী আদর্শ, আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানের কারিকুলাম একসাথে পাওয়া যাবে এমন স্বপ্নই লালন করতেন বহু সচেতন পিতা-মাতা। অবশেষে সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে যশোরে আত্মপ্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলাদেশের প্রথম ত্রিভাষিক (বাংলা, ইংরেজি ও আরবি) চেইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আজকের বিশ্ব প্রতিযোগিতার যুগে কেবল বইয়ের জ্ঞান যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন নৈতিকতা, ভাষাগত দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী। ঠিক সেই লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এখানে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা পবিত্র কুরআনের হিফজ ও তাফসিরের আলোয় নিজেদের চরিত্রকে গড়ে তোলে, অন্যদিকে তারা ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় সাবলীলভাবে যোগাযোগের দক্ষতাও অর্জন করে। প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত তিন পারা সমপরিমাণ পবিত্র কুরআন মুখস্থ করার পাশাপাশি ন্যাশনাল কারিকুলাম ইংলিশ ভার্সনের আওতায় আধুনিক পাঠদান। প্লে থেকে কেজি পর্যন্ত দুইজন কো শিক্ষকের মাধ্যমে শিশুবান্ধব শিক্ষা প্রদান, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ডিজিটাল এটেনডেন্স ও সিসিটিভি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাসকে নিরাপদ ও প্রযুক্তিনির্ভর করা হয়েছে। অভিভাবকগণ সন্তানের উপস্থিতি ও অগ্রগতি ঘরে বসেই ওয়েব মেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অন্যতম লক্ষ্য প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে ক্লাসের পড়া ক্লাসেই সম্পন্ন করা। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা এবং মেধাবীদের জন্য স্কলারশিপ ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার প্রস্তুতি প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশে এখানে রয়েছে সহীহ কুরআন তিলাওয়াত ও সালাত প্রশিক্ষণ, ইংরেজি ও আরবি বক্তৃতা ও বিতর্কে অংশগ্রহণ, ড্রইং, ক্যালিগ্রাফি, অভিনয়, আবৃত্তি, সংগীত ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ। এছাড়া টিভি চ্যানেলভিত্তিক পারফরমেন্স, ছায়া সংসদ ও ছায়া আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত করা হয়। শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও গুরুত্ব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল, সুইমিং, ব্যাডমিন্টনসহ নিয়মিত ক্রীড়া প্রশিক্ষণ, শারীরিক কসরত ও কুচকাওয়াজের ব্যবস্থা। আধুনিক আবাসিক হোস্টেল এবং শহরের বিভিন্ন রুটে ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস থাকায় অভিভাবকরা নিশ্চিন্তে সন্তানদের দায়িত্ব দিতে পারেন। ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল দর্শন হলো শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে তারা হয় খাঁটি ঈমানদার, নৈতিকভাবে দৃঢ়, জ্ঞান ও মেধায় শ্রেষ্ঠ, এবং দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত নাগরিক। যে অভিভাবকরা সন্তানদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মানসম্মত ও আধুনিক ইসলামী শিক্ষার উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান খুঁজে ফিরছিলেন, তাদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজ যেন এক নতুন আশার আলো। এখানেই একত্রিত হয়েছে দুনিয়ার জ্ঞান, আখিরাতের চেতনা ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা একই ছাদের নিচে। ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও (হিফজ মাদ্রাসা) যশোর শাখার চেয়ারম্যান আবু ফয়সাল বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় অপরিহার্য। ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজ সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। যেখানে কুরআনের নূর ও আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয়ে একটি আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে। নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ নতুন প্রজন্মই দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। আমরা এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই যারা ঈমান, জ্ঞান ও মানবতার মিশেলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
শিক্ষাঙ্গন
আশার আলো নিয়ে যশোরে যাত্রা শুরু করল ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজ
যশোরের অভিভাবক সমাজের দীর্ঘদিনের একটি অভিন্ন সমস্যা মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে না পাওয়া।
Printed Edition