ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উদযাপন: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব কেবল ছাত্রদের প্রতিবাদ ছিল না বরং এটি পুরো জাতির বিবেকের পুনর্জাগরণ ছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সেই জাগরণের প্রেরণা, কেন্দ্রবিন্দু এবং নেতৃত্বদাতা। আমাদের শ্রেণিকক্ষ হয়ে উঠেছিল রণকৌশলের মঞ্চ, ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছিল ন্যায় ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের দুর্গে। এদিকে গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের জুলাই শহীদ স্মৃতি ভবনে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ ও উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘জুলাই সেন্টার’ এর উদ্বোধন ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের হলভিত্তিক প্রথম কোনো সেন্টার এটি।
গতকাল সোমবার প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের কামালউদ্দীন আহমাদ লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা এইসব কথা বলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সেমিনার আয়োজন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী সেমিনার সিরিজের অংশ হিসেবে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন। জুলাই বিপ্লব নিয়ে ঢাবিতে পৃথক আরেকটি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। অনুষ্ঠানে হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এর ইতিবাচক দিকগুলো ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চিন্তা-ভাবনা একাডেমিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসব্যাপী সেমিনার সিরিজ আয়োজন করা হয়েছে। এসব সেমিনার থেকে উঠে আসা দিকনির্দেশনাগুলো দেশের ইতিবাচক সংস্কারে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব কেবল ছাত্রদের প্রতিবাদ ছিল না বরং এটি পুরো জাতির বিবেকের পুনর্জাগরণ ছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সেই জাগরণের প্রেরণা, কেন্দ্রবিন্দু এবং নেতৃত্বদাতা। আমাদের শ্রেণিকক্ষ হয়ে উঠেছিল রণকৌশলের মঞ্চ, ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছিল ন্যায় ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের দুর্গে।