চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ২শ’ ৪৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। এই প্রকল্পের স্থান নির্ধারণের জন্য চীনের একটি বিশেষজ্ঞ দল সোমবার জগন্নাথ হল এলাকা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম এবং চীনা Feasibility Studz-টিমের বিশেষজ্ঞ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন-এর নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ দলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়। উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য হল নির্মাণে সহযোগিতা করায় চীনের সরকার ও রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা গত ১৩/১৪ মাস যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চীন সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে। আগামী ২/১ মাসের মধ্যে হল নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এই ছাত্রী হল ছাড়াও অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশকিছু হল নির্মাণ করা হবে। এসব হল নির্মাণ করা হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১ হাজার ৫শ’ ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি গত বছর ছাত্রীদের আবাসিক সংকটের বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। তখন থেকেই আমরা এবিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।