বড় কোনো গোলযোগ ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদের ভোটগ্রহণ। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ভোটকেন্দ্রগুলোর ভেতরে অপেক্ষমাণ ভোটাররা বিকেল ৪টার পরও ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ শেষে এখন ফলাফলের অপেক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা অবস্থান করছেন।

সকাল ৯টার সময় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ভোটগ্রহণ শুরু হতে বিলম্ব হয় আধা ঘণ্টা; আর দৃষ্টিহীনদের আরও বিলম্বে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোট নেওয়া শুরু হয়। ভোট গ্রহণে যথেষ্ট ধীর গতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোট গ্রহণ শেষ করতেও বিলম্ব হয়।

এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মনির উদ্দিন বলেছিলেন, “ধীর গতিতে হোক আর যাই হোক; আমরা বলেছি, ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রের চৌহদ্দিতে যদি থাকে—যতক্ষণ পর্যন্ত ভোট নিতে হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভোট নেব।”

তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। এখন কেন্দ্র থেকে ব্যালটগুলো পৃথক করে ডিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে। এরপর সেখানে ক্যামেরার সামনে ভোট গণনা করা হবে।

এবারের নির্বাচনে দিনভর ভোটারদের মাঝে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা ছিল।

তবে সই ছাড়া ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়া, অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।

কেন্দ্রীয় নির্বাচনে মোট ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ২৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আছেন ২২ জন প্রার্থী। ১৪টি হল সংসদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ৪৭৩।

প্রতিটি হল সংসদে ১৪টি করে মোট পদের সংখ্যা ১৯৬। এ ছাড়া শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল সংসদে ১০ পদে লড়ছেন ২০ জন।