রাজশাহী ব্যুরো ও রাবি রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু’র ১৫তম নির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। এদিকে একটি জরিপে এই নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট এগিয়ে রয়েছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ নামে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের মধ্যে।
এবার রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। ভোটরদের ৪৩টি পদে ভোট দিতে হবে। নিরাপত্তাসহ ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, রাকসুতে এবার মোট বৈধ ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩০৫ এবং ছাত্র ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। একজন ভোটারকে যে ৪৩টি পদে ভোট দিতে হবে তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে রয়েছে ২৩টি, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৫টি এবং হল সংসদে ১৫টি। একজন ভোটার ভোট দিতে সময় পাবেন ১০ মিনিট। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলে ৯৯৩ জন, শাহ মখদুম হলে ১ হাজার ৮০৯ জন, নবাব আব্দুল লতিফ হলে ১ হাজার ১১৩ জন, আমীর আলী হলে ১ হাজার ২৩৩ জন, শামসুজ্জোহা হলে ১ হাজার ৩০৪ জন, হবিবুর রহমান হলে ২ হাজার ৪৪৬ জন, মতিহার হলে ১ হাজার ৮৭১ জন, মাদার বক্স হলে ১ হাজার ৮৭৪ জন, সোহরাওয়ার্দী হলে ১ হাজার ৮৮১, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ১ হাজার ৯৬৩ এবং বিজয়-২৪ হলের ১ হাজার ৫৩৪ ভোট। এছাড়া মেয়েদের ছয়টি হলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট জুলাই-৩৬ হলে, ভোটার ২ হাজার ৪৭২ জন। রহমতুন্নেসা হলে ১ হাজার ৭৬৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ১ হাজার ২৭৫ জন, তাপসী রাবেয়া হলে ১ হাজার ২৪১, বেগম রোকেয়া হলে ২ হাজার ১৭৩ এবং মন্নুজান হলে ২ হাজার ৩৭৮ জন ভোটার রয়েছেন।
ভোট কেন্দ্র ১৭টি : রাকসুতে এবার নয়টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবন, মমতাজ উদ্দিন কলা ভবন, ড. শহীদুল্লাহ্ কলা ভবন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন, জাবির ইবনে হাইয়ান বিজ্ঞান ভবন, জামাল নজরুল বিজ্ঞান ভবন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন, জগদীশ চন্দ্র একাডেমিক ভবন এবং জুবেরী ভবন।
অতিরিক্ত ব্যালট পেপার থাকছে না : রাকসু নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার অতিরিক্ত ছাপানো হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, রাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার যেনতেন কোনো জায়গা থেকে প্রিন্ট করানো হয়নি। নামসর্বস্ব কোনো প্রেসের কাছে এটি প্রিন্টে দেয়া হয়নি। যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন বা পরীক্ষার কাজ করে থাকে এমন অভিজ্ঞতা আছে তাদের কাছে থেকে করানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা এরই মধ্যে ভোট গণনার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ওয়েমার্ক রিডার মেশিন সংগ্রহ করেছি। পাশাপাশি সেগুলো ফলাফল সেন্টারে স্থাপনের কাজ চলমান শেষ পর্যায়ে। এসব মেশিন থেকে ১৫ থেকে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল দেয়া সম্ভব। এছাড়া নির্বাচনের প্রতিটি কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে।” তিনি আরো বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২১২ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৭ জনকে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাকি শিক্ষকদের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারাই এই ভোট পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে ২ হাজার পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি এবং ১২ প্লাটুন র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বুথ। ভোট প্রদানের জন্য থাকবে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স।
পারমানেন্ট মার্কার আমদানি : রাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আঙ্গুলে কালো দাগ দেয়ার জন্য পারমানেন্ট মার্কার আমদানি করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ভোট প্রদানের আগে প্রার্থীদের ছবি, আইডি কার্ড দেখে যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনার বলেন, “আমরা দেখেছি ডাকসু, জাকসুতে আঙুলের কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই আমরা রাকসু নির্বাচনের জন্য পারমানেন্ট মার্কার আমদানি করেছি। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে। নির্বাচনে আমরা ‘থ্রি ডাইমেনশন’ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেককে সেগুলো পার করে যেতে হবে। এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।”
সাইবার ক্রাইম ইউনিট কাজ করছে: রাকসু নির্বাচন উপলক্ষে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বিশেষ ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবন মাঠে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। এ সময় তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের অভিজ্ঞতা থাকলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির। এই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। মূল দায়িত্বে থাকবে প্রশাসন ও বিএনসিসি পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে। মাঠ পর্যায়ে র্যাব ও বিজিবিও দায়িত্ব পালন করবে।” তিনি আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশদ্বারে তল্লাশির দায়িত্বে থাকবে বিএনসিসি সদস্যরা, তবে তাদের সহযোগিতা করবে পুলিশ। তল্লাশির সময় সবাইকে সম্মানজনক আচরণের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনী উপকরণ যথাযথভাবে গণনাস্থলে পৌঁছে দিতে হবে এবং ভোট গণনা ও পরবর্তী সময় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, “এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তবে সাইবার স্পেসে গুজব রোধে আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিম যৌথভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করছে।”
পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক: রাকসু নির্বাচনে ভোটারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভোটার গাইডলাইন প্রকাশ করেছে রাকসু নির্বাচন কমিশন অফিস। ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ভোটারদের জন্য বেশ কিছু কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ভোটারকে অবশ্যই ছাত্র পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে, অন্যের হয়ে ভোট প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, ভোট প্রদানের আগে ভোটারের নাম, ভোটকেন্দ্র ও টেবিল নম্বর যাচাই করে ব্যালট নিতে হবে, ব্যালট দেয়ার আগে আঙ্গুলে অমোচনীয় কালি দেয়া হবে। ভোট দেওয়ার পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে, লাইনে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করতে হবে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
ভোটকেন্দ্রে নিষেধাজ্ঞা: ভোট প্রদানের পর ৫০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করা যাবে না, ভোটকেন্দ্রে প্রচার-প্রচারণা করা নিষিদ্ধ, মোবাইল ক্যামেরা বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনা যাবে না, ভোটের গোপনীয়তা বজায় রাখতে অন্যকে ব্যালট দেখানো যাবে না। এছাড়াও কেউ অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
জরিপে এগিয়ে ছাত্রশিবির : রাকসু নির্বাচনের জরিপ অনুযায়ী, ভিপি, জিএস ও এজিএস- এই তিনপদেই এগিয়ে আছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট। জরিপ অনুযায়ী, দ্বিতীয় অবস্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’। মঙ্গলবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই জরিপ তুলে ধরেন জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি সংস্থা, সোচ্চার-টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ। সোচ্চারের জরিপ পরিচালনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে অংশ নেয়া ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রিচি লিখিত বক্তব্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারা ১ হাজার ২৮৪ আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে জরিপ পরিচালনা করেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৫.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ৫৫.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন রাকসু নির্বাচনে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব পড়বে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪০.৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর পছন্দ এমন প্যানেল যেখানে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র অ্যাক্টিভিস্টদের সমন্বয় আছে। প্যানেল নয়, যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দিবে ৮২.৩ শতাংশ ভোটার। ৭৭.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছেন, ব্যক্তিগত পরিচয় বা দল মুখ্য নয়, তারা ভোট দিবেন যোগ্য প্রার্থীকে। জরিপ অনুযায়ী, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ ভিপি পদে ৩৬.৫ শতাংশ, জিএস ৩১.৭ এবং এজিএস ৩৩.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ ভিপি পদে ২.৩ শতাংশ, জিএস পদে ২.৬ শতাংশ এজিএস পদে ৬.১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া ভিপি পদে ১০.৩ শতাংশ, জিএস পদে ২০.১ শতাংশ এবং এজিএস পদে ১২.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দিবেন বলে মতামত জানিয়েছেন। তবে জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৪৯ শতাংশ, জিএস পদে ৪১.৭ শতাংশ এবং এজিএস পদে ৪৪.৫ শতাংশ ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো মতামত জানাননি।
রাকসু নির্বাচন
শিক্ষকদের নিয়ে
১০ জনের পর্যবেক্ষণ
কমিটি গঠন
রাবি রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নির্বাচনের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার জন্য এ কমিটি কাজ করবে। কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মামনুনুল কেরামত, ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নূরুল হোসেন চৌধুরী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক এম. নজরুল ইসলাম, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান, আইন বিভাগের অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দিকা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন, ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শেহনাজ ইয়াসমিন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ জাবিদ হোসেন। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শন করবো। সেখানে কোনো ধরনের কারচুপি হচ্ছে কিনা সেগুলো দেখব। আমাদের মূল কাজ হলো নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রে কোনও প্রকার সমস্যা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর দেয়া।”