চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় ভিসির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পাঁচটি ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ভোট হবে ওএমআর পদ্ধতিতে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রতিটি ভবনের ডিনকে রিটার্নিং অফিসার এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই দিন থেকে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী জানান, নির্বাচনের দিনে প্রতিটি ভবনে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পরিবহন নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘১৩ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বহিরাগত যানবাহন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকবে। ভোটের সময় প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া কেউ ভবনে প্রবেশ করতে পারবে না।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘প্রায় ৩৬ বছর পর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এ নির্বাচনকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। একটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন উপহার দিতে আমরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।