ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন ও সুস্থ বিনোদনমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ছাত্রী হলভিত্তিক ‘উইন্টার ফেস্ট’-এর আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রীসংস্থা। গত বৃহস্পতিবার ‘জুলাই-৩৬’ হলে ক্বিরাত প্রতিযোগিতা, মেধা যাচাই ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এ উৎসব শুরু হয়। এতে অংশ নেয় ‘জুলাই-৩৬’ হল সংযুক্ত দুই শতাধিক নারী শিক্ষার্থী। জানা যায়, ‘উইন্টার ফেস্ট’ উপলক্ষে পাঁচটি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে ছিল, ক্বিরাত প্রতিযোগিতা, সুই-সুতা (নেডল অ্যান্ড থ্রেড), পিলো পাসিং, আইকিউ টেস্ট এবং হাঁড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা। একজন প্রতিযোগীর সর্বোচ্চ তিনটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ ছিলো। জুলাই ৩৬ হল দিয়ে শুরু হলেও একে একে বাকি দুইটি হলেও ভিন্নধর্মী ইভেন্টে এ উৎসব হবে বলে জানান আয়োজকরা। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয়ভাবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। অংশগ্রহণকারী আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন শর্মিলী বলেন, আজকের আয়োজনে অংশ নিয়ে আমার মনে হয়েছে যে আমি শৈশবে ফিরে গিয়েছি। কেরাত প্রতিযোগিতা একটি অনন্য আয়োজন ছিল। অনেক জায়গাতে অনেক ধরনের প্রতিযোগিতা হয়, নাচ-গান হয়, খেলাধুলা হয়, কিন্তু কেরাত হয় না । তো এতে অংশগ্রহণ করতে পেরে ভালো লেগেছে। আর সবথেকে বেশি মজা লেগেছে হাঁড়ি ভাঙা খেলাতে। চোখটা যেহেতু বেঁধে দেওয়া হয়, তো সামনে অগ্রসর হওয়াটা এটা দেখতে খুব ভালো লাগে। আশা করবো যে ছাত্রীসংস্থা এরকম আরো নতুন নতুন আয়োজন নিয়ে আসুক এবং সবার মাঝে আরো সুন্দর একটা পরিবেশ তারা তৈরি করুক। পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থী তায়েবা আক্তার বলেন, আজকের দিনটা খুবই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আজকে আমরা যেন আমাদের হারানো শৈশবকে ফিরে পেয়েছি। আমি মনে করি যে এ ধরনের আয়োজন সুস্থ সাংস্কৃতিক বিকাশ, মানসিক চাপ কমানো এবং শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ছাত্রীসংস্থার শাখা সভানেত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “ আজ জুলাই ৩৬ হলের সকল আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রীদের নিয়ে ৫ টি ইভেন্টের মাধ্যমে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি দুই ছাত্রী হলেও অনুরূপ আয়োজন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। একেকটি হল একেকটি পরিবারের মত যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে। সময়ের পরিক্রমায় তরুণসমাজ আজ অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর যার দরুন আমরা সুস্থ সংস্কৃতি ভুলে প্রযুক্তির যাতাকলে আটকে পড়েছি। আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে জুলাই ৩৬ হলের ছাত্রী বোনেরা সুন্দর একটি দিন কাটাতে পেরেছে। আনন্দ, জয়-পরাজয় ভাগাভাগি করে নিয়েছে, একে অপরকে উৎসাহিত করেছে- যা আজকের আয়োজনকে চমকপ্রদ করে তুলেছে।”