রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে ক্যাম্পাসের পাশের বাগানে কিছু লোকের অবস্থানকে অস্ত্র বিতরণের ভিডিও উল্লেখ করে প্রচারণা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। আড্ডা ও খাবার খাওয়ার ভিডিওকে অস্ত্র বিতরণের ভিডিও হিসেবে গুজব ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

এর আগে ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা তার ফেসবুক পেজে জামায়াত-শিবিরের লোকজন নিজেদের মধ্যে অস্ত্র বিতরণ করছে, ক্যাপশন দিয়ে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। এরপর ভিডিওটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রদলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও একই ক্যাপশনে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে এ নিয়ে পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাকসু নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বাগানের ভেতর কিছু লোক দাঁড়িয়ে কিছু করছে এরকম অস্পষ্ট দূর থেকে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে ‘‘একটি রাজনৈতিক দলের লোকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের বিপরীত পাশে প্রকাশ্যে অস্ত্র বিতরণ করছে।’’ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এলে পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখতে পায় যে, বিভিন্ন দলের সমর্থক স্থানীয় উৎসুক লোকজন বাগানের পায়ে হাঁটা পথে ঘোরাফেরা করছে, গাছের ছায়ায় আড্ডা দিচ্ছে ও খাওয়াদাওয়া করছে। এটির খুব নিকটেই পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যদের অবস্থান।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বাস্তবতা হচ্ছে এরকম একটি প্রকাশ্য স্থানে পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়া কর্মীদের নাকের ডগায় অস্ত্র বিতরণ করা সম্ভব নয়। কোনো একটি মহল উৎসুক লোকজনের আড্ডা দেওয়া ও খাওয়ার বিষয়টি দূর থেকে ধারণ করে অস্ত্র বিতরণের নামে গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে গুজব ছড়ানো ও মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও গুজবমূলক বিষয় পোস্ট করা, শেয়ার করা, লাইক এবং কমেন্ট করা ফৌজদারি অপরাধ। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’