জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে হেল্পডেস্ক ও তথ্যসেবাকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সংগঠনটির সভানেত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের (৫২ ব্যাচ) ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করছে সংগঠনটি। দিনব্যাপী ছাত্রী সংস্থার টেন্টে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তথ্য ও দিকনির্দেশনা, বিশ্রাম এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন অবিভাবক ও ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রী সংস্থার টেন্ট থেকে সেবা পাওয়া এক অভিভাবক বলেন, সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রী সংস্থার টেন্টে এসে বসেছি। তারা আমাদের তথ্য ও দিকনির্দেশনা দিয়েছে। তাদের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নির্দ্বিধায় এখানে এসে সেবা নিতে পারবেন। তাদের ব্যবহার ও আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ।
শাখা ছাত্রীসংস্থার সভানেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে টেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। এখানে মেয়েদের জন্য জরুরি ওষুধ ও স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি টোকেনের মাধ্যমে ব্যাগ রাখার নিরাপদ ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টেন্টে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক বই রাখা হয়েছে, কেউ চাইলে সেগুলো সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা সংরক্ষিত স্থানও রয়েছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করাই আমাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এছাড়াও ২০২৬ এর শুরুতেই শাখা ছাত্রীসংস্থার পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা বাংলাদেশের ছাত্রীদের একমাত্র ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন। যা ১৯৭৮ সালের ১৫ই জুলাই ইডেন মহিলা কলেজের ১১ জন ছাত্রীর যৌথ উদ্যোগে সংগঠন যাত্রা শুরু করে। ইসলামী ছাত্রীসংস্থার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, থানা, জেলা এবং মহানগর এলাকায় কমিটি রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালে সংগঠনটির উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট ২০২৪ এ সৈরাচারী সরকার পতনের পর সংগঠনটি নতুন উদ্যমে সারা দেশে কাজ শুরু করেছে।