রাবি রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ৭ দিনের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করেছে অফিসার সমিতি। তবে শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ক্লাস-পরীক্ষায় অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১টা থেকে চলমান ‘শাটডাউন’ কর্মসচি স্থগিত ঘোষণা করা হলো। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে যদি দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না হয় তাহলে পরবর্তীতে সকলকে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর আখতার হোসেন মজুমদার জানান, রাবিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরেছেন, দাপ্তরিক কার্যক্রম পূর্ণরূপে সচল হয়েছে।
এদিকে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি চলমান রেখেছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতাকর্মীরা। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব উপ-উপাচার্যকে লাঞ্ছনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এর আগেও নামধারী কিছু ছাত্র আমাদের সহকর্মীদের আটকে রেখেছিল। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস পাইনি। তাই আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’ শিক্ষকদের এই কর্মসূচির ফলে শিক্ষা কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে।
এই ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির প্রতিবাদে গতকাল বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে মানববন্ধন করে ইসলামী ছাত্রশিবির। এ সময় শিবিরের রাবি শাখা সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘আজকের এই অচল অবস্থা পরিকল্পিত। একটি দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন পিছিয়েছে। আবার শাটডাউনের মাধ্যমে রাকসুকে বানচাল করার চে’া চলছে। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সেটি দেখার পর তা সন্তোষজনক মনে না হলে তারা পুনরায় আন্দোলন করতে পারে। তদন্তচলাকালীন এই শাটডাউন অযৌক্তিক।’ শিবিরের রাবি সভাপতি ও ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘পোষ্য কোটা শিক্ষার্থীদের জন্য একপ্রকার জুলুম। একটি গোষ্ঠী এ ইস্যু সামনে এনে তিনটি লক্ষ্য পূরণ করতে চায়- পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনা, পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করা এবং রাকসু নির্বাচন বাঞ্চাল করা।’ তাঁরা অবিলম্বে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়। মানববন্ধনে রাকসুর কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও একাত্মতা প্রকাশ করেন। শিবিরের নেতৃবৃন্দসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।