রাবি রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এই তফসিল ঘোষণা করা হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন। তফসিল উপস্থাপন করেন রাকসুর নির্বাচন কমিশন প্রফেসর ড. এনামুল হক। ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ জুলাই আচরণবিধি প্রকাশ, ৬ আগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ৭ ও ১০-১২ আগস্ট ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি এবং ১৪ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ১৭-১৯ আগস্ট মনোয়নপত্র বিতরণ, ২১ ও ২৪-২৫ আগস্ট মনোনয়নপত্র দাখিল, ২৭-২৮ আগস্ট মনোনয়নপত্র বাছাই, ৩১ আগস্ট প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ২ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ৪ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, ১৫ সেপ্টেম্বর প্রত্যেক আবাসিক হলে ভোট গ্রহণ এবং শেষে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, “রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন-২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন দশক পর এই বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে আমরা ইতিহাসের নতুন অধ্যায় সূচনার পথে অগ্রসর হচ্ছি। রাকসু নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেছি। নির্বাচন গ্রহণ থেকে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটবে না, ইনশাআল্লাহ।” এসময় রাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান, নির্বাচন কমিশনার ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফসর ড. নিজাম উদ্দিন, আইন অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান, প্রফেসর ড. মো. গোলাম মোস্তফা আকন্দ, প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলামসহ নির্বাচন কমিশনারগণ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণ আরো উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় এক দশক পর ১৯৬২ সালে রাকসু প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর মোট ১৪টি নির্বাচন হয়। সর্বশেষ রাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর ৩৬ বছর ধরে রাকসু নির্বাচন হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন রাকসু নির্বাচনের দাবি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।