চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ গতকাল বুধবার ৩৩ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার পাঠ করেন জোটের ভিপিপ্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন।
ইশতেহারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ছাত্রদের আবাসনসংকট নিরসন, নিরাপদ ও সবুজ ক্যাম্পাস, গবেষণা জোরদার, যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়ন, সেশনজট নিরসন, নারীবান্ধব ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, ডিজিটাল প্রশাসন এবং কল্যাণমূলক কার্যক্রম।
আবাসন ও যাতায়াত : বিদ্যমান হলে সংস্কার, এক্সটেনশন ব্লক বৃদ্ধি ও নতুন টিনশেড নির্মাণের মাধ্যমে অন্তত ১০% আসন বৃদ্ধি করা হবে। শাটল ট্রেন ও বাস পরিষেবা আধুনিকীকরণ, বগি সংখ্যা বৃদ্ধি, শাটল ট্র্যাকার অ্যাপ চালু এবং নগর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত দ্বিতীয় রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নারী শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তা : মাতৃত্বকালীন ছুটি, শিশুর যতœকেন্দ্র ও ব্রেস্টফিডিং জোন স্থাপন, নারীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ এবং যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধে বিদ্যমান সেল শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি, আলোকসজ্জা, পুলিশ বক্স এবং পার্টটাইম নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শিক্ষা ও গবেষণা : গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণা বৃত্তি, সেমিনার ও রিসার্চ ফেস্ট আয়োজন, বিদেশি স্কলারশিপ সহযোগিতা, লাইব্রেরি আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল রিসোর্স সংযোজনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও কল্যাণ : বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রকে ৫০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর, অনলাইন পরামর্শ ব্যবস্থা, বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি এবং সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত চাকসু নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সিল, আইনি সহায়তা সেল এবং ক্যাম্পাসে চাকরির সুযোগ তৈরির মতো কার্যক্রমও বাস্তবায়ন করা হবে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘সম্প্রীতি শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল ঘোষণা করে ইসলামী ছাত্রশিবির। ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন ইতিহাস বিভাগের এমফিল শিক্ষার্থী এবং জিএস প্রার্থী সাইদ বিন হাবিব সাহিত্য সম্পাদক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।